ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ১১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৮টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন ও পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিকের সঠিক মাত্রার অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গুণগত পাঠদান, শিশু বিকাশ ও প্রশাসনিক কাজ। এছাড়া সহকারী শিক্ষকের ৬৭২টি পদের মধ্যে ৬৭টি পদ শূন্য রয়েছে। দ্রুত এ সমস্যা নিরসন প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবাই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১১০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বিহীন। প্রধান শিক্ষক বিহীন বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪১টি বিদ্যালয়ে সরাসরি প্রধান শিক্ষক এবং ৩১টি বিদ্যালয়ে ‘চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত’প্রধান শিক্ষক দিয়ে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজ করানো হচ্ছে। এছাড়া সহকারী শিক্ষকের ৬৭২টি পদের মধ্যে ৬৭টি পদ শূন্য রয়েছে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক-শূন্য বিদ্যালয়গুলোতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র শিক্ষকরা। এতে একদিকে স্কুল পরিচালনা, অন্যদিকে প্রশাসনিক কার্যক্রম পালন শেষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। ফলে ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের পাঠকার্যক্রম।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সোনাগাজী উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অভিভাবকহীন। পদ শূন্য থাকায় প্রধান শিক্ষকের কাজ অন্য আরেকজন শিক্ষককে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে করতে হচ্ছে। দায়িত্বের কারণে পাঠদানের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা-সেমিনারে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়’।
+ There are no comments
Add yours