
চট্টগ্রামে ১৩ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ।
‘ফ্রি-ফায়ার’ গেম খেলা নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর তাকে কিল-ঘুষি মেরে খুন করে। এরপর আব্দুল্লাহর লাশ গুম করেন অভিযুক্ত ওই কিশোরের মা হাফিজা বেগম। তবে শেষ পর্যন্ত রহস্য উদ্ঘাটন শেষে মা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের সঙ্গে আব্দুল্লাহর বন্ধুর সম্পর্ক ছিল।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর মনসুরাবাদে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান উপকমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) আলী হোসেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকায় আবদুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনায় জড়িত হাফিজা বেগম ও তার ছেলেকে।
উপ-কমিশনার (বন্দর ও পশ্চিম) আলী হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, গত ১৩ ডিসেম্বর আব্দুল্লাহ অভিযুক্তের বাসায় যায়। তারা মোবাইল ফোনে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলতে শুরু করে। পরে খেলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর অভিযুক্তের কিল-ঘুষির কারণে মারা যায় আবদুল্লাহ।
বয়সে কিশোর হলেও টিভি সিরিয়াল দেখে সে অনেক কিছু রপ্ত করেছে। আবদুল্লাহর পরিবারকে ব্যস্ত রাখতে মিথ্যা অপহরণের নাটক সাজায় অভিযুক্ত ও তার মা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবদুল্লাহর বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। এ ছাড়া আবদুল্লাহর বাবা-মাকে পুলিশের সহায়তা নিতে নিষেধ করে। এরপর সন্ধ্যায় অভিযুক্তের মা হাফিজা বেগম গার্মেন্টসের চাকরি শেষ করে ঘরে ফিরলে দুজন মিলে রাতের অন্ধকারে বস্তায় ভরে দুই ভবনের মাঝে ফেলে দেয় আবদুল্লার মরদেহ।
+ There are no comments
Add yours