শ্রম অধিকার নিয়ে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার (স্যাংশন) হুমকির মধ্যে বাংলাদেশের প্রধান দুই বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি কমেছে।
এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের পাঁচ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পোশাক রপ্তানি কমেছে ০.২০ বিলিয়ন ডলার বা ২০০ মিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-নভেম্বর) প্রথম পাঁচ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩.২৭ বিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ১৭.৪০ শতাংশ।
যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ কম। আগের বছর একই সময় রপ্তানি করেছিল ৩.৪৭ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে দেশের পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতেও রপ্তানি কমেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ১১.৯৮ শতাংশই ইউকেতে রপ্তানি হয়েছে। আলোচ্য সময়ে শুধু ব্রিটেনে রপ্তানি হয়েছে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার। আগের বছর একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১.৯৬ বিলিয়ন ডলার। এ সময় ইউকেতে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৪.৬১ শতাংশ। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে নন ট্রেডিশনাল মার্কেটেও। এর আগে চীনকে পেছনে ফেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিট পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে উঠেছে বাংলাদেশ।
আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশ থেকে নন ট্রেডিশনাল মার্কেটে মোট রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.১২ শতাংশ। এ সময় নন ট্রেডিশনাল মার্কেটে পোশাকের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩.৬৪ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের রপ্তানির ১৯.৩৩ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে নন ট্রেডিশনাল মার্কেটে রপ্তানি হয়েছিল ৩.১৯ বিলিয়ন ডলার।
নন ট্রেডিশনাল মার্কেটের মধ্যে রয়েছে- জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, কোরিয়া, চায়না, ইউনাইটেড আরব আমিরাত, মেক্সিকো, সৌদি আরব, তুর্কি, সাউথ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, চিলি, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশ।
অর্থবছরের ৫ মাসে কানাডায় পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৬০৬ মিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশের রপ্তানির ৩.২২ শতাংশ। আগের বছর একই সময়ে কানাডায় রপ্তানি হয়েছিল ৬২৩ মিলিয়ন ডলার। কানাডায়ও আলোচ্য সময়ে রপ্তানি কমেছে ২.৭১ শতাংশ।
+ There are no comments
Add yours