নির্বাচন কমিশন গঠিত অনুসন্ধান কমিটিকে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠায় বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বিচারক মোজাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন বগুড়া জেলার ৭টি নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়াম্যানরা।
তারা বলেছেন, অনুসন্ধান কমিটির বিচারকদের নির্বাচনী কাজে বাধা দিচ্ছেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ না নিতে বলছেন বিচারক মোজাম্মেল হক। এছাড়া আরও বেশকিছু বিষয়ে অসহযোগিতা করছেন তিনি।
জেলা ও দায়রা জজ যেসব অসহযোগিতা করেছেন
(ক) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির বিজ্ঞ বিচারকদের নির্বাচনী কাজে বাধা প্রদানসহ প্রশিক্ষণে অংশ না নিতে বলেন।
(খ) নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকে উপেক্ষা করে বিচারিক দায়িত্ব পালনে বাধ্য করছেন।
(গ) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির জন্য বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, বগুড়া এর অনুকূলে বরাদ্দকৃত বাজেটের অর্থ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির মধ্যে বিতরণে অপারগতা প্রকাশ করছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর বিচারক একে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করাসহ তার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছে ইসি।
এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে ইসি সচিবালয়। সেটি আগামীকাল বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। সেই প্রতিবেদনের একটি কপি ঢাকা পোস্টের হাতে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দ্য রিপ্রেজেন্টেশন অব দ্যা পিপল অর্ডার ১৯৯৭ এর অনুচ্ছেদ ৯১ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ২২ নভেম্বর জারি করা পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী অপরাধ, নির্বাচনী আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে এমন ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে সারাদেশে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠনের ধারাবাহিকতায় বগুড়া জেলাধীন ‘নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম’ সংক্রান্ত বিষয়সমূহ অনুসন্ধানপূর্বক কমিশনের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে ৭টি নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়।’
+ There are no comments
Add yours