আন্তর্জাতিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরা কর্তৃক প্রচারিত ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদন সম্পর্কে প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদর দপ্তর।
০৩ ফেব্রুয়ারি সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়েছে, ০২ ফেব্রয়ারি ২০২১ তারিখ বাংলাদেশ সময় রাত ০২০০ ঘটিকায় আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেল কর্তৃক কল্পনাপ্রসূত ও অসৎ উদ্দেশ্যে প্রচারিত ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টার’স ম্যান’ শীর্ষক প্রতিবেদনটির ব্যাপারে সেনাসদর কর্তৃক তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হচ্ছে। মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের ভিত্তিতে তৈরী করা এই প্রতিবেদনটি সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক দেশকে অস্থিতিশীল করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার একটি অপপ্রয়াস মাত্র। বর্ণিত প্রতিবেদনটি তৈরীর কুশীলবগণের মধ্যেঃ ১) ডেভিড বার্গম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কর্তৃক দন্ডিত একজন অপরাধী, ২) জুলকারনাইন সায়ের খান (‘সামি’ ছদ্মনামধারী) মাদকাসক্তির অপরাধে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি থেকে বহিস্কৃত একজন ক্যাডেট এবং ৩) তাসনীম খলিল অখ্যাত ‘নেত্র নিউজ’-এর প্রধান সম্পাদক। অসৎ ও কলুষিত চরিত্রের অধিকারী এ সকল স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গ পূর্ব থেকেই তাদের নিজেদের মধ্যে যোগসুত্র স্থাপন করে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে।
আল-জাজিরার মত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি সংবাদ চ্যানেলের সাথে মূলধারার সাংবাদিকতা থেকে বিচ্যুত ও অশুভ চিন্তাধারার এ সকল ব্যক্তিবর্গের যোগসাজশের বিষয়টি অনাকাঙ্খিত ও বোধগম্য নয়। দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাগণের বিভিন্ন দাপ্তরিক, সামাজিক এবং ব্যক্তিগত কার্যক্রমের ভিডিও ক্লিপ ও ছবি চাতুর্যের সাথে সম্পাদনা এবং অডিও সংযোজন করে এই প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক ইসরায়েল থেকে ইন্টারনেট ও মোবাইল মনিটরিং সরঞ্জামাদি ক্রয় সংক্রান্ত’ মিথ্যা তথ্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহারের জন্য হাঙ্গেরির একটি কোম্পানী থেকে ক্রয়কৃত সিগন্যাল সরঞ্জামাদিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘ইসরায়েল থেকে আমদানিকৃত মোবাইল মনিটরিং প্রযুক্তি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ক্রয়কৃত সরঞ্জাম কিংবা এ সংক্রান্ত কোন নথিপত্রেই এগুলো ইসরায়েলের তৈরী বলে উল্লেখ নেই। এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় উক্ত দেশ থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী ক্রয় কিংবা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গ্রহণের কোন অবকাশ নেই।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদনটিকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভেদ ও দূরত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির পথে বাঁধা সৃষ্টির একটি অপপ্রয়াস হিসেবে মনে করে। বর্তমান চেইন অব কমান্ডের অধীনে এই সুশৃঙ্খল বাহিনী দেশের সংবিধান এবং সরকারের প্রতি সর্বদাই অনুগত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সরকারের প্রতি অবিচল শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ মাতৃকার উন্নয়ন ও সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য দৃঢ়ভাবে সংকল্পবদ্ধ।
+ There are no comments
Add yours