দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে বয়সে সবার ছোট আজিজুল ইসলাম। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন।
আজিজুল ইসলামের বয়স ২৮ বছর। যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসন থেকে তিনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। আজিজুল ৯ হাজার ৫৭৫ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার।
সূত্র মতে, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে তুলনামূলক কম বয়সে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অনেকেই আলোচনায় এসেছেন। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক ২৯ বছর বয়সে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সারা দেশে আলোচনায় এসেছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিল জন ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। ওই সময় তার বয়স ছিল ২৭ বছর। আর সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে বেসরকারিভাবে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের মধ্যে আজিজুল হক সর্বকনিষ্ঠ।
আজিজুল ইসলাম বলেন, জয়ের ব্যাপারে আমার শতভাগ বিশ্বাস ছিল। তবে পারিপার্শ্বিক নানা কারণে ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। কেশবপুরবাসীকে ধন্যবাদ যে আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।
নিজ নির্বাচনী এলাকা কেশবপুরের বড় কাজ সাধারণ ভোটারদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা, তাদের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করা, এলাকার উন্নয়ন করা, যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখা। এসব বিষয়ে আমি স্থানীয় রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমকর্মী, সংস্কৃতিকর্মীদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।
আমি চাই সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন, নতুন নতুন উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে কেশবপুর উপজেলাকে উন্নত এলাকায় পরিণত করা। কেশবপুর পৌর শহরকে আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা। প্রবীণদের পাশাপাশি আমরা যদি তরুণদের সামনে রেখে রাজনীতি করি তাহলে আমার বিশ্বাস তারা ভবিষ্যতের রাজনীতির প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হবে।
কেশবপুরের তরুণ আইকন বলেন, তরুণরা আর ২০০১ ও ২০১৪ সালের সেই সহিংস রাজনীতিতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা সবাই অনেক সচেতন। নিজের দলের রাজনীতির আদর্শ নিয়ে সচেতন। আমাদের সবার উচিত হবে সতর্কভাবে কাজ করা। জনগণ যে প্রত্যাশা নিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছেন সেই বিষয়টাকে ধরে রাখতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাজনীতিতে তরুণদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত না, তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা অন্যায়। তরুণদের আলাদা ভাবলে চলবে না। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শুধু বয়স বিবেচনা করে যুদ্ধে যায়নি, দেশের স্বাধীনতার জন্য তরুণরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ফলে তরুণদের কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য ভালো কিছু করা সম্ভব। যেটা প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিশ্বাস করেন। তিনি অসংখ্য তরুণদের রাজনীতি, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। ফলে সব মিলিয়ে আমিও বিশ্বাস করি সংসদ সদস্য হিসেবে যদি আমার পারফরমেন্স ভালো থাকে তাহলে ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতের জন্যই থাকবে।
+ There are no comments
Add yours