মোঃ আমির হোসেন, ঝালকাঠি
আমার জেল খাটার অভ্যাস আছে। জীবনে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অস্ত্রসহ অনেক মামলার আসামী হয়েছি। জেলও খেটেছি অনেকবার। পরবর্তিতে তোদের দেখিয়ে দিয়ে আবার জেলে যাবো, কয়েকদিন পরেই ছাড়া পেয়ে যাবো। আমার সাথে অনেক লোক আছে, কিছুই করতে পারবি না। এমন দাম্ভিকতার কথায় ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামে ছগির হোসেন হাওলাদার ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছে ৬টি পরিবার।
শুধু এ ৬টি পরিবারই না, এভাবে অনেক পরিবারের উপরই আছে ছগির হোসেন হাওলাদার ও তার বাহিনীর নির্যাতন নিপীড়ন। ছগির বাহিনীর নির্যাতন নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে ঝালকাঠি টাউন হলস্থ রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারাবুনিয়া বাজারের ক্ষুদ্র ওষুধ ব্যবসায়ী আঃ মান্নান হাওলাদার। তার সাথে উপস্থিত হয়ে নির্যাতনের বর্ণনা দেন একই এলাকার জুয়েল হাওলাদার, মো. তৈয়ব আলী, মো. ফারুক হাওলাদার, মো. মধু মিয়া, এনামুল হক রিন্টু।
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে মান্নান হাওলাদার বলেন, ছগির ও তার াবহিনীকে ১লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের খুন জখমের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করলে কাঠালিয়া থানায় মামলা (নং-০৪/২১) দায়ের করলে হত্যার চেষ্টা করতেছে। ছগির বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খুলতে পারছে না। মামলা দায়েরের পর অব্যাহত হুমকিতে ওষুধের দোকান বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
আঃ মান্নান হাওলাদার আরো জানান, কাঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের ছগির হোসেন ওরফে ডাকাত ছগির স্থানীয় জুয়েল, সোহরাব, রিপন, নিজাম, কালাম, সবুজ, মন্টুও শহিদুলের অত্যাচারে জুয়েল হাওলাদার, মো. তৈয়ব আলী, মো. ফারুক হাওলাদার, মো. মধু মিয়া, এনামুল হক রিন্টুজুয়েল হাওলাদার, মো. তৈয়ব আলী, মো. ফারুক হাওলাদার, মো. মধু মিয়া, এনামুল হক রিন্টু, হোসেন আলী, হাতেম আলী, হযরত আলী, সুমন, ফাহাদ, শাহেদ আলীসহ শান্তিপ্রিয় জনসাধারন অতিষ্ট হয়ে উঠছে।
এনামুল হক রিন্টুজানান, ছগির হোসেন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকাবাসীকে অত্যাচারে অতিষ্ট করে তুলছে। তার দস্যুতায় তারাবুনিয়া এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তার হুমকিতে বাড়িতেই গৃহবন্ধী থাকতে হচ্ছে, বাজারেও উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ক্ষতিগ্রস্তরা ছগির বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে ছগির হোসেন বলেন, এলাকার অনেক লোক আছে যারা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেয়ার স্থান না পেলে আমার কাছে আসেন। আমি তাদের শালিস ব্যবস্থার মাধ্যমে মিমাংসা করে দেই। এজন্য একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। একসময় আমার নামে কয়েকটি মামলা ছিলো। এখন কোন মামলা নেই। আার নামে যত মামলা ছিলো সব ক্লিয়ার হয়েছে।
কাঠালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মুরাদ আলী জানান, ছগির হোসেনের বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি ফৌজদারী মামলা আছে। কাঠালিয়া থানায় নতুন যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে কি কি মামলা ছিলো তা বিস্তারিত না জেনে বলতে পারছি না।
+ There are no comments
Add yours