চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সংক্রান্ত পর পর তিনটি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। যা নিয়ে বিভ্রান্তি ও সমালোচনা তৈরি হয়েছে। মূলত সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে মাউশি।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে প্রথম নির্দেশনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যাবে বলে জানানো হয়। পরে সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফা নির্দেশনায় ১৭ এর স্থলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাখা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত মৌসুমে দেশের কোনো স্থানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্য বা তারও নিচে হতে পারে বলে মনে করেন আবহাওয়াবিদেরা।
‘সর্বোচ্চ’ তাপমাত্রার এই কথা উল্লেখ করায় সমালোচনার মুখে পড়ে মাউশি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তৃতীয় নির্দেশনায় ‘সর্বোচ্চ’ শব্দ বাদ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়।
তৃতীয় দফার নির্দেশনায় বলা হয়, দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে মর্মে জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যে সব জেলায় দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে যাবে, আঞ্চলিক উপপরিচালকগণ ওই সব জেলার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ (দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর ওপরে না ওঠা পর্যন্ত) রাখার নির্দেশনা দেবেন।
অন্যদিকে, মাউশির দ্বিতীয় দফার নির্দেশনার পর সন্ধ্যার দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশনা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানেও বলা হয়, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে স্কুল করা যাবে।
+ There are no comments
Add yours