দেশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র বিচারপতি মাহবুব মোর্শেদ

Estimated read time 1 min read
Ad1

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম বলেন,বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ ছিলেন উপমহাদেশের আইন অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি ছিলেন আপসহীন ন্যায়বিচারক। তৎকালীন সামরিক শাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগও করেছিলেন। এছাড়াও জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে তার গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন।

১৯ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার বিকেল ৫ টায় হোটেল অরনেট ইন্টারন্যাশনাল ঢাকায়,শেরেবাংলা সাংস্কৃতিক জোট কর্তৃক আয়োজিত, বিচারপতি এস এম মোর্শেদের ১১২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব ড.আব্দুর রহিম এর সভাপতিত্বে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসার পরিচালনায় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সাবেক তথ্য সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পীরজাদা শহীদুল হারুন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম মমতাজুল করিম, গীতিকবি সেলিনা আক্তার, আলহাজ্ব মো.ফকরুল হোসেন, গীতিকার গোলাম কিবরিয়া, মো.সুমন হাওলাদার, গোলাম ফারুক মজনু, জহিরুল ইসলাম জাবেদ,এম শফিক উদ্দিন অপু।

অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করে সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের সন্তান ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের বিচার এখনও অনুসরণ করা হয়। তার অনেক রায় বিভিন্ন ল’জার্নালে লেখা রয়েছে। এখনও সুপ্রিম কোর্টে অনেক রায় প্রদানের ক্ষেত্রে তার ভাবনা অনুসরণ করা হয়।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মার্গুব মোর্শেদ তার বাবার জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও বিভিন্ন জাতীয় আন্দোলনে তার অবদান তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, তিনি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেন, তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করতেন। তিনি অনুভব করেছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি আর বাঙালিদের আর এক থাকা সম্ভব নয়। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি কখনও অন্যায়ের কাছে মাথানত করতেন না।

তার জীবন থেকে আমরা অন্যায়ের সামনে মাথানত না করার শিক্ষা পাই। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেও তার মতো করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।উপমহাদেশের স্বনামখ্যাত আইনবিদ, মানবতাবাদী সমাজহিতৈষী, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার অন্যতম রূপকার এবং দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম ‘সার্ক’-এর অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদের আজ ১০৮তম জন্মবার্ষিকী।

১৯১১ সালের ১১ জানুয়ারি কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। বিচারপতি মোর্শেদ একজন আইনবিদ ও বিচারপতিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন যথার্থ সংস্কৃতিবান ব্যক্তিত্ব, যিনি বিচারপতির আসনে অধিষ্ঠিত থেকে সীমিত সুযোগের মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেন।

আমরা জানি, আইন পেশায় বাঙালি মুসলমানের প্রবেশ ঘটে অনেক বিলম্বে। উনিশ শতকের শেষ ও বিশ শতকের গোড়ার দিকে পাশ্চাত্য শিক্ষিত মুসলমান আইনজীবীর সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। অথচ স্বাধীন পেশা হিসেবে তখনো সমাজে আইন পেশার গুরুত্ব ছিল অসামান্য। বিশেষ করে ঔপনিবেশিক আমলে তারা রাজনৈতিক ও অন্যান্য সামাজিক আন্দোলনে অংশ নিতে পারতেন অন্য পেশাজীবীদের তুলনায় অনেক বেশি।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অবদানের জন্য ১৫ জনকে বিচারপতি সৈয়দ মাহাবুব মোর্শেদ স্মৃতিস্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। মানবাধিকারে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাংবাদিকতায় মোহাম্মদ অলিদ তালুকদার সিদ্দিকী, গবেষনায় রিফাত মাহবুব সাকিব গোলাম কিবরিয়াসহ অন্যান্যরা এই পদক পান।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours