ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট দুয়েকদিনের মধ্যে মিটে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে গ্যাসের যে সংকট রয়েছে আমরা আশা করছি আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই তা কমে অনেক ভালো অবস্থায় আসবে। এটা আমাদের জন্য একটি সুখবর। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে সবার জন্য মিটার লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের নসরুল হামিদ এ কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেলো দুদিন যাবত গ্যাসে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শুক্র ও শনিবার মারাত্মক গ্যাস সমস্যা দেখা দিয়েছিল, বিশেষ করে চট্টগ্রামে এবং পরবর্তীকালে ঢাকায়। আমাদের দুটি ফ্লোটিং স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটের (এফএসআরইউ) একটি ডকিং করার জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলাম।
দ্বিতীয় এফএসআরইউতেও কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আপাতত আজকের দিনে আমাদের দুটিই (এফএসআরইউ) চালু আছে। এরমধ্যে একটি আবার চলে যাবে ডকিংয়ে। তবে যেটি বাইরে থেকে এসেছে, সেটি পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করেছে। আমরা আশাবাদী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস দুয়েকদিনের মধ্যে আরও ভালো অবস্থায় চলে যাবে।
গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। আমরা জানি, সাময়িক সমস্যা আছে। তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহার বাড়াতে চাচ্ছি আমরা। এলপিজি এখন গাড়িতেও ব্যবহার হচ্ছে, বাসাবাড়িতেও হচ্ছে। কোনো কোনো সময় কেউ কেউ বলেন, এটার দাম বেশি। আমরা এটিকে ডায়নামিক প্রাইসিংয়ের আন্ডারে নিয়ে গিয়েছি।
নসরুল হামিদ বলেন, শিল্পখাত বাদ দিলে সবমিলিয়ে আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ২০ থেকে ২৫ লাখ হতে পারে। এই গ্রাহকদের আমরা আস্তে আস্তে মিটারের মধ্যে নিয়ে এসেছি। এরমধ্যে সাড়ে চার লাখ গ্যাস মিটার বসানো হয়েছে। আগামী তিন বছরের মাথায় সবার জন্য গ্যাস মিটার লাগানোই আমাদের লক্ষ্য। বহুদিন যাবত আমরা গ্যাস মিটার বসানো শুরু করার চেষ্টা করেছিলাম, এ জন্য অর্থের প্রয়োজন, সেটাও আমরা পেয়ে গিয়েছি।
+ There are no comments
Add yours