শীতের অজুহাতে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েছে মাছের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, গত কয়েক দিনের ঠান্ডায় জেলেরা মাছ কম ধরছেন। ফলে বাজারে মাছের সরবরাহ কমেছে, বেড়েছে দাম। তবে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে সব জিনিসেরই দাম বেশি। শীত শুধু অজুহাত।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের খুচরা মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে স্বাভাবিকই আছে মাছের সরবরাহ। তবে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
বর্তমানে বাজারে আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২৪০ টাকা, বোয়াল ৬৫০ টাকা, সরপুঁটি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মিরকা ২৫০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি কই ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৬০ টাকা, পাঙ্গাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বাইলা ৩০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, মৃগেল ৩০০ টাকা, টুনা ৩০০ টাকা, চাপিলা ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, সুরমা ২৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, কোরাল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ফাইস্যা ৫০০ টাকা, তপসী মাছ ৭০০ টাকা, আইড় ৮০০ টাকা, লাক্ষ্যা মাছ ৭৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংড়া ৬০০ টাকা, দেশি পুঁটি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাচকি ৪০০ টাকা, কালিবাউস ৩০০ টাকা, ফলি মাছ ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, বাইম ৮৫০ টাকা, কাইক্যা মাছ ৪০০ টাকা, ভেদা মাছ ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১৫০ টাকা, শোল ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ টাকা, চাষের শিং ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি মাগুর ১০০০ টাকা, চাষের মাগুর ৬০০ টাকা, টাকি ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একদিকে যেমন নদ-নদীতে মাছের উৎপাদন কমেছে, অন্যদিকে শীতের কারণে জেলেরা এখন কম মাছ ধরছে। যার কারণে বাজারে মাছের সংকট রয়েছে। আর সরবরাহ কম থাকলে দাম বাড়া স্বাভাবিক। শীত কমে গেলে আবার সরবরাহ যদি বাড়ে, তখন দাম কমে যাবে।
+ There are no comments
Add yours