অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে অভিযোগ করেছেন বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১১ চিকিৎসক।
বিষয়টি জানতে পেরে পুরোনো তারিখ (ব্যাক ডেট) ও ভুয়া স্মারক নম্বর ব্যবহার করে সিভিল সার্জনের কাছে ওই ১১ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শফিউর রহমান মজুমদার।
বিষয় দুটি আমলে নিয়ে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় ও সিভিল সার্জনের কার্যালয় দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের ১১ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কাছে অভিযোগ করে হাসপাতালের ১১ চিকিৎসক। বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. ইফতেখার আহমদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ২৩ ডিসেম্বর কমিটি সরেজমিন তদন্তও করে।
বিষয়টি জানার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ভুয়া স্মারক নম্বর বসিয়ে সিভিল সার্জনের কাছে উল্টো অভিযোগ করেন। নথিতে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অভিযোগের যে চিঠি দিয়েছেন সেখানে তারিখ উল্লেখ করেছেন গত বছরের ২৭ জুলাই এবং স্মারক নম্বর উল্লেখ করেছেন উপঃ স্বাঃ কমঃ/বাঁশ/প্রশা ব্যবস্থা-২৩/৩৩২৬।
হাসপাতালের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী, ওই তারিখ ও স্মারক নম্বরের চিঠিটি ছিল স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শফিউর রহমান নিজহাতে সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগের চিঠি জমা দেন। এনিয়ে ১৯ ডিসেম্বর ডেপুটি সিভিল সার্জনকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে সিভিল সার্জন কার্যালয়।
হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ২৭ জুলাই চিঠি দেওয়ার প্রায় ৬ মাস পর ১৯ ডিসেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করে। যা অবাক করা বিষয়। এমনকি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ে ১১ চিকিৎসকের দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটিরও প্রায় ৫ দিন পর সিভিল সার্জন কার্যালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ভুয়া স্মারক নম্বর বসিয়ে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কিছু প্রক্রিয়া মেনেই করা হয়েছে। চিঠিতে কোনো ভুল তথ্য নেই।
+ There are no comments
Add yours