বান্দরবানের তুমব্রু এবং কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে গতকাল শনিবার গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছিল। মিয়ানমার থেকে নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মিয়ানমারের পশ্চিম আরাকানের (রাখাইন রাজ্য) আঙ্গামুরুং ও বাইশফাঁড়ি এলাকায় গতকাল বিকেল ৪টার পর থেকে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়। গোলাগুলির শব্দে এপারে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করে।
তুমব্রু সীমান্তের পশ্চিম কুল গ্রামের গৃহবধূ রাশেদা বেগম বলেন, ‘ওপারের ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দে আমাদের এপারের ঘরদুয়ার কাঁপছে। শনিবার (গতকাল) আসরের নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ থেকে ১২টি ভারী অস্ত্রের শব্দে আমারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। মনে হচ্ছে, একদম কাছেই গোলাগুলি হচ্ছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গতকাল ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সেখানে সতর্ক রয়েছেন। সেখানে কিছুদিন পরপরই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাখাইনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নেতিবাচক প্রভাব অবশ্যই আছে।
+ There are no comments
Add yours