বাংলাদেশের যেসব জেলায় কুষ্ঠ রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে, তার মধ্যে সর্বাধিক মৌলভীবাজারে। ২০২৩ সালে এ জেলায় মোট ২৫৭ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হন। এর মধ্যে শিশু ১১ জন। পরীক্ষার হার বাড়লে রোগীর সংখ্যাও বাড়বে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কুষ্ঠ রোগের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। এ রোগ নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা ‘লেপ্রা’। সংস্থাটির মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জের এরিয়া সুপাইভাইজার জিয়াউর রহমান মৌলভীবাজারের কুষ্ঠরোগের অবস্থা নিয়ে বেশ ভয়ের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ধরা হয় ‘গ্রেড টু’ বলে চিহ্নিত রোগীদের। এ রোগীদের মূল চ্যালেঞ্জ ধরে কাজ শুরু করা সংস্থাটি বলছে মৌলভীবাজারে গ্রেড টু রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেশি। ২০২৩ মৌলভীবাজার জেলায় সাতজন গ্রেড টু কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
লেপ্রা জানায়, ২০২২ সালে মৌলভীবাজারে মোট কুষ্ঠ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৯৩ জন। ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫৭ জনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছে কমলগঞ্জ উপজেলায়। এ উপজেলায় ২০২৩ সালে ৬৬ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হন। একই বছর কুলাউড়ায় ৬২ জন, জুড়ীতে ৪৬ জন শ্রীমঙ্গলে ৩৫ জন, বড়লেখায় ২৬ জন, রাজনগরে ১৭ জন এবং সদরে মোট ৯ জন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হন।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, জেলায় ২০২৩ সালে শনাক্ত ২৫৭ জন কুষ্ঠ রোগীর মধ্যে চিকিৎসার আওতায় রয়েছেন ২১৭ জন। এর মধ্যে শিশু ১১ জন। দুজন মারা গেছেন। বাকিরা সুস্থ হয়ে গেছেন। কিন্তু, আক্রান্তের পরিমাণ আশঙ্কাজনক।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মোর্শেদ বলেন, কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশে শীর্ষ জেলা মৌলভীবাজার। বর্তমানে জেলায় যেসব রোগী রয়েছেন তাদের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্করাই বেশি। মৌলভীবাজারে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে চা-বাগান এলাকাতেই রয়েছেন ৯০ শতাংশের বেশি।
+ There are no comments
Add yours