জয়পুরহাট সদর উপজেলার পাঁচুর চক মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র (১৬) হত্যা মামলার ২১ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। বিষয়টি আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট শহরের দেওয়ান পাড়া মহল্লার মৃত ইউনুস আলী দেওয়ানের ছেলে বেদারুল ইসলাম ওরফে বেদীন, শান্তিনগর মহল্লার শাজাহান মৃধার ছেলে সরোয়ার রওশন ওরফে সুমন, আরাফাত নগর মহল্লার মোসলেম উদ্দীনের ছেলে মশিউর রহমান এরশাদ ওরফে বাবু, দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন ওরফে মনছুর, তেঘরবিশা মহল্লার মৃত কাবেজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম, দেওয়ান পাড়া মহল্লার আজিজ মাস্টারের ছেলে রানা, দেবীপুর কাজীপাড়া মহল্লার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে শাহী, দক্ষিণ দেওয়ানপাড়া মহল্লার ওয়ারেছ আলীর ছেলে টুটুল, দেবীপুর মন্ডলপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে সুজন, দেবীপুর কাজীপাড়ার নূর হোসেনের ছেলে রহিম ও নওগাঁর ধামইরহাট ধুরইল গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ডাবলু।
তাদের মধ্যে আজ আদালতে পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- সরোয়ার রওশন, মশিউর রহমান এরশাদ, মনোয়ার হোসেন, রানা ও শাহী। অন্য ছয়জন বেদারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, টুটুল, সুজন, রহিম ও ডাবলুকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ বলেন, সাড়ে ২১ বছর আগে সদর উপজেলার এক স্কুলছাত্রকে পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। ওই ঘটনায় ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছিলেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত আজ রায় দেন। রায়ে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। ১১ জনের মধ্যে ৫ জন হাজতি ছিলেন এবং তারা কোর্টে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।আসামিপক্ষের আইনজীবী নন্দকিশোর আগরওয়ালা বলেন, এই রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করা হবে।
+ There are no comments
Add yours