ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ইমান, আমল ও আখলাককে পরিপূর্ণ শুদ্ধরূপে গড়ে তুলতে বিশ্ব ইজতেমায় শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের বয়ান শুনে কাটছে মুসল্লিদের তৃতীয় দিন।
প্রতি বছরই গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হয় মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয় বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা। এক সময় এক পর্বেই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতো। মুসল্লিদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ও ময়দানে জায়গা না হওয়ায় দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা।
গত বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর আমবায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বিদের বয়ান শুনতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৭টি দেশের লাখ লাখ মুসল্লি সমবেত হয়েছেন বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে।
এখানে মুসল্লিরা ধর্মীয় শিক্ষা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কনকনে শীত উপেক্ষা করে অংশ নিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমায়। প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার তৃতীয় দিন শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর হিন্দিতে বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান। পরে তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন।
এর আগের দিন শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন দেশের সর্ববৃহৎ জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে। এখানে লাখ লাখ মুসল্লি সমবেত হয়ে এক সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেন। এ নামাজের ইমামতি করেন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, এ পর্যন্ত বিশ্ব ইজতেমায় সাতজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শুরায়ে নিজাম অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করার কথা রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours