ছুটির দিনে মুখরিত ছিল বইমেলা

Estimated read time 1 min read
Ad1

ছুটির দিনে মুখরিত বইমেলা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই উপস্থিত। মেট্রোরেল, বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা রিকশা; যে যেভাবে পেরেছে, সাড়া দিয়েছে বইমেলার ডাকে।

অনেকে তো আবার চলে এসেছে পায়ে হেঁটেও। এক কথায়, শুরু থেকেই যেন মেলার মাঠ সরগরম। স্টলে স্টলে ঘুরে বই বাছাই ও বই নিয়ে আড্ডায় এসেছে বইমেলার চিরচেনা দৃশ্যপট। 

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চিল একুশে বইমেলার তৃতীয় দিন। শনিবার সকালটা ছিল শিশুদের। সকাল ১১টার দিকে খুলে দেওয়া হয় সব ফটক। দুপুর ১টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর। এ সময় প্রাণখুলে স্টলে স্টলে বাবা-মায়ের হাত ধরে ছুটে বেড়িয়েছে শিশুরা।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, পুরো সকালজুড়েই নতুন বই নিয়ে মেতেছিল খুদে পাঠকের দল। তবে সিসিমপুর কার্টুনের জনপ্রিয় চরিত্র হালুম, টুকটুকি, ইকরি আর শিকুকে নিয়েও আগ্রহ মোটেই কম ছিল না। আর বিকেল ৩টার পর থেকে শিশু চত্বরের বাইরেও দ্রুত ভিড় বাড়তে থাকে পুরো মেলাজুড়ে। এরপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যার আগেই মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ।

জায়গায় জায়গায় জমতে দেখা যায় আড্ডা। অনেকেই বই উল্টেপাল্টে দেখছিলেন। বেলা গড়ালে বেড়ে ওঠে বিক্রয়কর্মীদের ব্যস্ততাও। সব মিলিয়ে অমর একুশে বইমেলার চিরচেনা রূপটা যেন ধরা দিয়েছে বইমেলা শুরুর এই প্রথম লগ্নেই। তবে মেলার অবকাঠামো তৈরির কাজ অনেকটা বাকি এখনো।

এছাড়া মেলার মাঠে আগে যেমন বেঞ্চ তৈরি করা হতো, বসার জন্য এবার তাও নেই। ফলে বয়স্ক মানুষদের বেশ অসুবিধাই হয়েছে। এসব নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন আর বইমেলা নেই, যা আছে তা এলোমেলো, বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় বইয়ের হাট।

বইমেলা এত বড় করার দরকার ছিল না। কারণ দেশে যথার্থ প্রকাশক হাতেগোনা। বাংলা একাডেমিতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিস্তৃত করে এলোমেলো করা হয়েছে। চারদিকে আবর্জনা, ধুলাবালির স্তূপে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। আর আমাদের মতো বয়স্ক লোকদের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন ছিল। প্রাণে সঞ্জীবনী শক্তি জাগানোর মতো বইয়েরও অভাব লক্ষণীয়। হাটের মতো বারোয়ারি অবস্থা ফিরে আসছে। এই দিকগুলো নিয়ে আয়োজকদের ভাবতে হবে। ’

শনিবার মেলায় নতুন বই এসেছে ৭৪টি। এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘দ্বিশতজন্মবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রফিকউল্লাহ খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন খসরু পারভেজ এবং হোসনে আরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। ‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক সালেহা চৌধুরী, লালন গবেষক আবু ইসহাক হোসেন এবং কবি ও প্রাবন্ধিক মামুন মুস্তাফা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি নাসির আহমেদ, তারিক সুজাত, শাহনাজ মুন্নী এবং নাহার মনিকা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী মিলন কান্তি দে, শাহাদাৎ হোসেন নিপু এবং আফরোজা কণা।

রোববার অমর একুশে বইমেলার ৪র্থ দিন। এদিন মেলা শুরু হবে বিকেল ৩টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘স্মরণ: কাঙাল হরিনাথ মজুমদার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন তপন মজুমদার। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন জাফর ওয়াজেদ এবং আমিনুর রহমান সুলতান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মুনতাসীর মামুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours