বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে আজ বিকেল পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ব্যাপারে ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, ইজতেমা ময়দানে ১৩ জন, দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এক সদস্য ও ময়দানে আসার পথে সাতজনসহ মোট ২১ জন মারা গেছেন।
ইজতেমা ময়দানে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সানোয়ার হোসেন (৬০), চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকার জলিলের মিয়ার ছেলে আলম (৫৬), নরসিংদীর নুরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজ (৬০), সিরাজগঞ্জ জেলার ওসমান গনির ছেলে আল মাহমুদ (৭০), শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আব্দুল কাদের (৫৫), নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা সদরের কুনিয়া কুমরি বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্ফদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার গোলি গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হজরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর বসির মিয়ার ছেলে আব্দুল জব্বার (৫৫)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, ইজতেমার ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া আটজন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), পুলিশ সদস্য হাসানুজ্জামান হাসান (৩০), শেরপুরের আমেলা খাতুন (৬০), ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মোশাররফ আহমেদের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮) ও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রোববার আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করতে যাওয়া দুই মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা হলেন- নরসিংদী জেলার দক্ষিণ সাদারচর গ্রামের কাজল মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (৩৫) ও একই এলাকার মনির হোসেনের ছেলে মো. জনি (১৬)। সকাল পৌনে ৭টায় টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের শিলমুন এলাকায় কার্ভাডভ্যান ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত হন তারা। বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদগুলো নিশ্চিত করেন।
এদিকে, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে গাজীপুর পুলিশ প্রশাসন বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে পুরো ময়দানকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। এ ছাড়াও ৬ হাজার পুলিশসহ র্যাব, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ প্রায় ১৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি আকাশ পথে হেলিকপ্টার ও নদীপথে স্পিডবোটে সার্বক্ষণিক টহল দেয় র্যাব সদস্যরা।
+ There are no comments
Add yours