পাকিস্তানে জিততে চলেছেন নওয়াজ শরিফ

Estimated read time 1 min read
Ad1

পাকিস্তানে চলছে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭ হাজারেরও বেশি প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে প্রায় ১২ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ভোট দিচ্ছেন।

তাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে, আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন। তবে বৈশ্বিক নানা মিডিয়া ও থিংক-ট্যাংক বলছে, পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে জিততে চলেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

আর এই অনুমান সঠিক হলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজের এটি হবে চতুর্থ মেয়াদ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর প্রধান নেতা নওয়াজ শরিফ ২০২৪ সালের এই সাধারণ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হবেন বলে মার্কিন মিডিয়া এবং থিংক ট্যাংকগুলোর পাশাপাশি বিবিসি, গার্ডিয়ান এবং এএফপিসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটগুলো অনুমান করছে।

প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানিরা যখন সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবে তখন নওয়াজ শরিফকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাতে না পারাটা হবে আশ্চর্যজনক।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চতুর্থ দফায় ক্ষমতায় আসার পর নওয়াজ শরিফ সেই অভিযোগগুলো থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ পাবেন যার কারণে তিনি ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী হয়ে নওয়াজ শরিফকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অস্থির সমর্থকদের সম্মুখীনও হতে হবে।

যুক্তরাজ্যের সাবেক সিনিয়র কূটনীতিক এবং কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টিম উইলাসি-উইলসি বলেছেন, ‘নওয়াজ শরিফ একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তিনি সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারদর্শী। তিনি ভারতের সাথেও সুসম্পর্ক চাইবেন।’

ইউএস থিংক ট্যাংক ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট উল্লেখ করেছে, ‘ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে নওয়াজ শরিফ এবং তার দল পিএমএল-এন ক্ষমতার দৌড়ে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যদি পিটিআই-সংশ্লিষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি জয় তুলে নিতে পারে, তাহলে তা হবে বিশাল বিস্ময়কর। এছাড়া তেমন কিছু হলে তা পিটিআই-এর জন্যও হবে অলৌকিক ঘটনা।’

মার্কিন এই থিংক ট্যাংক আরও বলেছে, ইমরানের পিটিআই পাকিস্তানের বৃহত্তম দল হয়ে উঠেছে এবং ২০১৮ সালে দলটি এমন নির্বাচনে জয় পেয়েছিল যে নির্বাচনের মাঠ ইমরানের খানের পক্ষে এবং নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে ছিল বলে বলা হয়ে থাকে। সময়ের সাথে সাখে এবার আগের সেই পরিস্থিতিও ওলট-পালট হয়ে গেছে। সুতরাং, এবারের নির্বাচনটি এমন একটি নির্বাচন যার পরিবেশ ইমরান খানের বিরুদ্ধে এবং নওয়াজ শরিফের পক্ষে রয়েছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক রিপোর্ট করেছে, ‘নির্বাচনের পর নতুন নেতাকে দেশের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট এবং ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। এই অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতিকে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে পাকিস্তানের প্রতিবেশী এবং আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অংশীদারদের সাথে দেশটির সম্পর্ক।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনে কে আসলে বিজয়ী হবেন তা স্পষ্ট না হলেও এটি নির্ধারণে পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাধর জেনারেলরা বেশ বড় ভূমিকা রাখতে পারেন। স্বাধীনতার পর থেকে গত ৭৬ বছরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশটিতে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। আর ৭০টি আসন সংরক্ষিত। এর মধ্যে ৬০টি আসন নারীদের ও ১০টি আসন অমুসলিম প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।

সরকার গঠন করতে কোনও দল বা জোটকে কমপক্ষে ১৬৯টি আসনে জয় নিশ্চিত করতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours