ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ভর্তির শুরুতেই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য তিন দিনব্যাপী ‘মানসিক স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ’ চালু করা হয়েছে। এ বছরের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ছাত্রশিক্ষক কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েলনেস ফেস্টিভ্যালে তিনি এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের এ বয়সে আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় না। গ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধনহীন হয়ে পড়ে। এখানে তারা নানাভাবে প্রভাবিত হয়। আমরা বলি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুল আছে, ফুলের কাঁটাও আছে। অনেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
তিনি বলেন, কেউ কেউ আছে, আত্মহত্যার পথে হয়তো যায় না। কিন্তু তাদের পরীক্ষার ফল খারাপ হয়, বছর গ্যাপ হয়, বারবার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য যদি ভালো থাকে, তাহলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তারা নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে সহজে উত্তরণ করতে পারবে।
উপাচার্য আরও বলেন, আমরা ছাত্র নির্দেশনা ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক ও সাইকোলজিস্ট ড. মেহ্জাবীন হক, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি, সাইকোলজি, এডুকেশন সাইকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যানকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য একটি ‘ব্রুশিয়ার’ তৈরি করেছি। এটি দেখে দেওয়ার জন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর পাঠিয়েছি। তিনি দেখে মতামত দিয়েছেন। এটিকে আরও উন্নত করার জন্য আমরা বিভাগের কাছে পাঠাব।
উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেয়। তা থেকে আমরা মাত্র ছয় হাজারের মতো ভর্তি করি। অর্থাৎ প্রতি ৫০ বা ৫১ জনের মধ্যে একজন ভর্তির সুযোগ পায়। কী ধরনের প্রক্রিয়ায় এখানে শিক্ষার্থীরা আসে, তা সহজেই অনুমেয়। এই শিক্ষার্থীরা যদি পরিপূর্ণ বিকশিত হতে না পারে, তাহলে এর দায় বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্র, প্রাক্তনসহ আমরা-আপনারা কেউ এড়াতে পারব না।
আর্থিক সচ্ছলতা থাকলে বিপথগামী হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
+ There are no comments
Add yours