পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সে সিদ্ধান্ত নেবেন পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি কারাগারে থাকুক কিংবা বাইরে পিটিআই প্রধান তিনি-ই।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন পিটিআই’র অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান গোহর আলী খান। এ সময় জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
আসন গণনায় পিটিআই শক্ত অবস্থানে আছে মন্তব্য করে গোহর আলী খান আরও বলেন, ৯৪ জনের জয়ের ঘোষণা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) দিয়েছে। আর এই বিষয়ে তাদের কাছে নির্বাচন কমিশনের জারি করা ফর্ম-৪৫ রয়েছে। আরও ২২টি আসনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। কিন্তু এসব আসনে ফল পাল্টে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পিটিআই আন্তঃদলীয় নির্বাচনের দিকে যাবে। তার মতে, জনগণ পিটিআইকে বড় সমর্থন দিয়েছে। আর দলের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে করা সব মামলাই ভুয়া।
গোহর আরও বলেন, সংরক্ষিত আসনের পাশাপাশি কোন দলে যোগ দেওয়া হবে সে বিষয়ে শিগগিরই তারা একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন। যেসব আসনে ফলাফল আটকে দেওয়া হয়েছে, সেখানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করা হবে। কর্মীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, প্রতিবাদ একটি অধিকার, তবে তা হতে হবে শান্তিপূর্ণ। পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যে আসনগুলোয় জিতেছে সেগুলোয় তাদের পরাজিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর এখন পর্যন্ত সবগুলো আসনের ফল ঘোষণা করা হয়নি। ভোট হওয়া ২৬৫ আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৫৫ আসনের ফল জানা গেছে। এর মধ্যে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয় দেখানো হয়েছে ১০০ আসনে। নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) পেয়েছে ৭৩ আসন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৪ আসন এবং অন্যান্য দল পেয়েছে ২৮টি (ফল: জিও টিভি)।
+ There are no comments
Add yours