ফেনীতে দখল-দূষণে হারাচ্ছে জলাশয়, বাড়ছে অগ্নিঝুঁকি

Estimated read time 1 min read
Ad1

দখল আর দূষণে ফেনী শহর থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পুকুর, জলাশয়। পানির প্রবাহ হারিয়ে মৃতপ্রায় খালগুলো।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, বড় ধরনের কোনো অগ্নিকাণ্ড হলে তা উত্তরণের জন্য পানির উৎস না থাকায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা থেকে শুরু করে আবাসিক ভবনগুলো। এছাড়া ঝুঁকিতে রয়েছে ৬০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ ও অবকাঠামো। 

লালচে জং ধরা টিনের অবকাঠামোগত যে জঞ্জাল ফেনী বড় বাজারে দৃশ্যমান, এমনটা ছিল না এখানটায়। দেড় দশক আগেও ছিল বিশাল জলাশয়। অজু, গোসলসহ মানুষের প্রাত্যহিক কাজে প্রয়োজন মেটাতো জলাশয়টি। শহরের কোথাও আগুন লাগলে নেভানোর ভরসাও ছিল এটি। প্রথমে দূষণ, এরপর দখল।

সময়ের পরিক্রমায় শহরের বুক থেকে হারিয়ে গেছে জলাশয়টি। নিউমার্কেট নামে নির্মাণ হয়েছে কয়েক শতাধিক দোকান। অপরদিকে জলাশয়টি ভরাট করায় অগ্নিঝুঁকিতে পড়েছে কয়েকশ’ কোটি টাকার সম্পদ ও অবকাঠামো।

এখনও সুবিশাল সেই জলাশয়গুলোর অভাববোধ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অগ্নিঝুঁকি থেকে বাঁচতে কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক ভূমিকার আশা তাদের। দাওয়াখানা অফসেট প্রেসের মালিক আবদুর রহমান আলমগীর বলেন, বিশাল জলাশয় ছিল, মানুষ সেখানে অজু-গোসল করতো। সেই জলাশয়টি বিলীন করে এখন সেখানে মার্কেট হয়েছে। বাজারে কোনো অগ্নিদুর্ঘটনা হলে তা নেভানোর জন্য এখন কোনো পানি নেই।  

একই কায়দায় ফেনী শহর থেকে গত দুই দশকে তিন শতাধিক জলাশয় বিলীন হয়ে গেছে। ভরাট হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে খাল ও পানির প্রবাহ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, একটি শহর থেকে জলাশয় কমে যাওয়ায় সে শহরের জন্য বড় ঝুঁকি অগ্নিঝুঁকি।  

অপরদিকে শহরের রাজাঝির দীঘি, বিজয় সিংহ দীঘিসহ অন্যান্য জলাশয়গুলোর সৌন্দর্যবর্ধন, দখল-দূষণরোধে নানা উদ্যোগের কথা জানান ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

পরিবেশ অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক মোসাম্মৎ শওকত আরা কলি বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।  

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours