১৪ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কিন্তু সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলের প্রান্তিক মানুষরা এ দিনটিতে ‘সুন্দরবন দিবস’ হিসেবে উদযাপন করেন। কিন্তু এখনও দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের স্বীকৃতি পায়নি।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষায় খুলনাসহ উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দুই দশকের বেশি সময় ধরে দিনটি উদযাপন হয়ে আসছে। ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়।
সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস উদযাপন হয়ে আসছে। সেই হিসেবে এবার উদযাপিত হচ্ছে ২৩তম সুন্দরবন দিবস। প্রতিবারের মতো এবারেও সুন্দরবন দিবসের মূল অনুষ্ঠানটি হবে খুলনায়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সুন্দরবন সুরক্ষার জন্য ‘সুন্দরবন দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা জরুরি। কিন্তু ২৩ বছরেও দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপনের স্বীকৃতি পায়নি। এ কারণে ক্ষোভ বিরাজ করছে সুন্দরবন গবেষক, উন্নয়ন সংগঠন এবং পরিবেশবাদীদের মধ্যে।তারা বলছেন, সুন্দরবন নিয়ে মৌলিক গবেষণা প্রয়োজন। সুন্দরবন সুরক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা আরও শক্তিশালী করতে হবে। সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা প্ল্যানকে যুগোপযোগী করতে হবে।
সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. রশীদুজ্জামান বলেন, সংসদ অধিবেশন চলছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি যাতে সুন্দরবন দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় ঘোষণা পায় সেই বিষয়ে আমি জোর দাবি জানাবো।
+ There are no comments
Add yours