নিজস্ব প্রতিবেদক
উখিয়া উপজেলার বালুখালিতে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে বন্দুকযুদ্ধে মুখে পড়েছে র্র্যাব। অভিযান চালানোর সময় র্র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি চালায়। এসময় র্র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে গুলিবিদ্ধ হয় জাফর নামে এক মাদক কারবারি । র্র্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২টার এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র্র্যাব ঘটনাস্থল থেকে ৮ হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি পিস্তল, তাজা গুলি, খালি খোসা ও রামদা উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে।
র্যাবের পাটানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়,১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার উখিয়া উপজেলার বালুখালী কাস্টমস এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ী মাদক ক্রয়বিক্রয় কালে র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে র্যাবের উপর গুলি করলে সরকারি সম্পত্তি ও আত্মরক্ষার জন্য র্যাবও পালটা গুলি চালায়। এতে বালুখালীর জাফর আলম (৪০) পিতা: সৈয়দ মোস্তাফা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীর শরীরে গুলিবিদ্ধ হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব ঐ মাদক ব্যবসায়ীকে চিকিৎসার জন্য কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করতে বলেন। বর্তমানে গুলিবিদ্ধ ঐ মাদক ব্যবসায়ী র্যাবের পাহারায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা করেছে বলে র্যাবের পাটানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান গোলাগুলির এক পর্যায়ে বালুখালীর ছড়া গ্রামের আজম উল্লার ছেলে সোনা মিয়া ও জুমের ছড়া গ্রামের মৃত ইউছুপের ছেলে দলিল নামে দুই মাদক কারবারি পালিয়ে যায়।
এদিকে আটক হওয়া মাদককারবারী জাফর আলম, র্যাবের সাথে বন্ধকযুদ্ধে নিহত শাপলাপুরের মাদককারবী হাবিবউল্লার মাদক চোরাচালানের পাটনার ছিলেন। এবং তার সহোদর বড় ভাই এক সময়ের চা বিক্রেতা নুর আলম ও ছোট ভাই চিহ্নিত মাদককারবারী ফরিদ আলম প্রকাশ চিয়ক / ইয়াবা ফরিদ দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সাথে মিলে সুকৌশলে মাদক চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে। স্বল্প সময়ে চা বিক্রেতা থেকে তারা বনে গিয়েছে কার,বাস,ডাম্পার,বড় বড় কাপরের শো রুম, হোটেল,জায়গা সম্পত্তি ও বিভিন্ন যায়গায় বেস কয়েকটি আলিশান বাড়ির মালিক।
আটক মাদক কারবারি জাফরকে রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তাদের সব অবৈধ সম্পদ জব্দ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য গুলিবিদ্ধ ইয়াবাকারবারী জাফর আলম ইতিপুর্বে বিশ হাজার পিস ইযাবা সহ বালুখালী পানবাজার থেকে র্যাবের হাতে আটক হয়ে কারাগারে ছিল।পরবর্তীতে কারাগার থেকে বের হয়ে আবার পুরোদমে ইয়াবা কারবার শুরু করে।
+ There are no comments
Add yours