পাকিস্তানে নির্বাচনের পর আবার রাজপথে সরব হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই। দলটি শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দেশজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে।
গত বছরের ৯মের পর আবার এ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে সরব হতে যাচ্ছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শনিবার দেশজুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। ফলে আজ তাদের রাজপথে নামার কথা রয়েছে। এমনকি দলটি বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মসূচির জায়গাও ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গওহর আলি খান নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেন। এ কর্মসূচি পালনে তিনি জামায়ত-ই-ইসলামি, জমিয়তে উলামা-ই-ইসলামসহ (জেইউআই-এফ) অনান্য দলগুলোকে পাশে চান।
ওই দিন পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, যারা বিশ্বাস করেন ম্যান্ডেট পরিবর্তন ও নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে আমরা সেসব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। শনিবার বিকেলে পিটিআই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে। এ কর্মসূচিতে জনসাধারণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ব্যারিস্টার গওহর আলি খান বলেন, এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের ম্যান্ডেট চুরি হতে দেব না। এর আগে পিটিআইয়ের আরেক নেতা আসাদ কায়সার বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে কারচুপির ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। বৃহস্পতিবার দলের প্রতিষ্ঠাতা এ বিক্ষোভের তারিখ ঘোষণা দিবেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২৯৭ আসনের মধ্যে পিএমএল-এন ১৩৭টি আসন পেয়েছে, যা একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ।
তবে জাতীয় পরিষদের মতো পাঞ্জাবেও বাজিমাত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা সবচেয়ে বেশি ১৩৮টি আসনে জয় পেয়েছে। তাদের মধ্যে ১১৬ জন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী। এ ছাড়া বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ১০টি আসন।
+ There are no comments
Add yours