একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে এবারও নগরের নিউমার্কেট এলাকার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল ও কলেজ মাঠের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন চট্টগ্রামবাসী।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা নতুন শহীদ মিনার প্রসঙ্গে তাদের মতামত তুলে ধরার পর সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেয়র বলেন, মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নির্মাণাধীন শহীদ মিনার দৃশ্যমান না হওয়া এবং সিঁড়ি সংকীর্ণ ও বয়োবৃদ্ধদের উপযোগী না হওয়া নিয়ে অনেকের অভিযোগ আছে। এ বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় তা বোঝার জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা একটি কমিটি করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়েছি।
কমিটির মতামত ও আজকের সভায় উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হলো এবার শহীদ দিবসে গতবারের মতো মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণেই আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করব। সভায় বিশিষ্টজনরা বলেন, মেয়র রেজাউল যেভাবে দৃঢ়তার সঙ্গে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারীদের কাছ থেকে ফুটপাত উদ্ধার করেছেন সেভাবে চট্টগ্রামের শহীদ মিনার নিয়ে নাগরিকদের যে দাবি তা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেবেন বলে আমাদের আশা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, ১৪ দলীয় জোট নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দুনন্দন দত্ত, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, ডেপুটি কমান্ডার মো. নুরউদ্দিন, কালাম চৌধুরী। একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, মহিলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হাসিনা আক্তার, কলামিস্ট ড. মাসুম চৌধুরী, নাট্যজন সুচরিত দাশ খোকন, সমাজসেবী দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, অলক ঘোষ, রাশেদ হাসান, প্রণব চৌধুরী বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক আবু সুফিয়ান, কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সিনিয়র সহ সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, হাসান ফেরদৌস ও শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম এবং নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।
+ There are no comments
Add yours