শবে বরাতের রাত ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানোর পর এবার মুসলিম ধর্মপ্রাণরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এক মাস সিয়াম সাধনার। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান।
আর রোজাদারদের খাদ্যতালিকায় অন্যতম অনুষঙ্গ হলো খেজুর। আমদানি নির্ভর এই পণ্যটির দামে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রোজার আগেই। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে খেজুরের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে কেজিতে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।
দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে অতিরিক্ত শুল্ক, ডলার সংকট, এলসি না পাওয়া ও সরবরাহে ঘাটতিকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা। একই সঙ্গে গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে আমদানির অনুমতি দেওয়াকেও দায়ী করছেন তারা। এদিকে রমজান উপলক্ষে খেজুরে ১০ শতাংশ শুল্ক ছাড় দিলেও খুশি হননি ব্যবসায়ীরা।
কারণ চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসার পর লোড ও আনলোডে অনেক সময় লেগে যায়, এতে গুণতে হয় বিলম্ব মাশুল। ফলে শুল্ক যা কমিয়েছে তার থেকেও বেশি দিতে হচ্ছে বিলম্ব মাশুল।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খেজুরের চাহিদার পুরোটাই আমদানি করে মেটাতে হয়। সরবরাহ ভালো থাকলেও অতিরিক্ত শুল্ক দিয়ে আমদানি করায় বাড়তি মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। একইসঙ্গে টাকার মান পড়ে যাওয়ায় এমনিতেই দাম বেশি পড়ছে।
আগামী মার্চে যে রোজা শুরু হতে যাচ্ছে, সে মাসের পণ্যমূল্য নিয়ে এখনই কথা হচ্ছে। খেজুরের ওপর আরোপ করা আমদানি শুল্ক যা কমানো হয়েছে সেটা পর্যাপ্ত নয়। আরো কমানো দরকার ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে রোজার অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দেয়। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ।
আমদানিকারকদের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু রমজান মাসেই দেশের মানুষের চাহিদা মেটাতে ৬০ হাজার টনের বেশি খেজুর প্রয়োজন হয়। যেখানে অন্য সব মাস মিলে খেজুরের চাহিদা ২০ হাজার টনের মতো। আর চাহিদানুযায়ী উৎপাদন না হওয়ায় দেশে প্রতিবছর ১৩-১৪ লাখ টন ডাল ও ডালজাতীয় শস্য আমদানি করতে হয়।
+ There are no comments
Add yours