২ দিন ব্যাপী ঐতিহাসিক পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিল সফলকল্পে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) এর উদ্যোগে আগামী ১ ও ২ মার্চ’২০২৪ চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য ২ দিন ব্যাপী ঐতিহাসিক ২১তম পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিল সফলকল্পে অদ্য ২৯ ফেব্রুয়ারী’২৪ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় মোমিন রোডস্থ সালমা ভবন (২য় তলা) শহীদ হালিম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে এবারকার মাহফিলে হাজার-হাজার মানুষের লোকসমাগম হবে উল্লেখ করে এ লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয় ।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়- স্মরণাতীত কাল থেকেই তাবৎ দুনিয়ার ইসলামী নকিবগণ মাহফিল -জলসার মাধ্যমে পবিত্র এ কোরআনের মর্মবাণীর প্রচার তথা হেদায়তের মিশন জারি রেখেছিলেন এবং এখনও রেখে চলেছেন। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, হালসময়ে কতিপয় আলেম নামধারী ব্যক্তি একদিকে মাহফিলের সাথে যায়না এমন কতেক অযাচিত বিষয়ের অবতারণা করে মাহফিলের গুরুত্ব-মাহাত্ন্য, আমেজ-আবহকে নির্দ্বিধায় প্রশ্নবিদ্ধ করছে,অন্যদিকে কোরআন -হাদিসের বিকৃত ও খন্ডিত উপস্থাপনের মাধ্যমে ইসলামের শ্বাশত আদর্শ ও মৌলিকত্বকে বিশ্ব পরিমন্ডলে বিতর্কের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এমনই এক নাজুক পরিস্থিতিতে পবিত্র দরসুল কোরআন মাহফিল দেশের চিরায়ত মাহফিল সংস্কৃতিতে এক অনন্য সংযোজন। গৌরব ও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এ মাহফিল ২১ তম বর্ষে পদার্পন করেছে। ২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে ১ মার্চ শুক্রবার বিকেল ২টায় কেবলই মহিলা মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে এবং ২ মার্চ ২৪ সকাল ৮ টায় শিশু -কিশোর সমাবেশ এবং বিকেল ২টায় দরসুল কোরআন মাহফিল এর মূল দরস অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবী পেশ করা হয়।
১) কোরআন-সুন্নাহ’র চর্চা ও অনুশীলন না থাকার কারণে দেশে চুরি, ডাকাতি, খুনখারাবি, হানাহানি, অশ্লিলতা-বেহায়াপনা, ইভটিজিং ইত্যাদি অসামাজিক কার্যকলাপ বর্ধিষ্ণু। তাই এর প্রতিকার তথা মানুষের মধ্যে নৈতিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যথাযথ মর্যাদায় ইসলামী সংস্কৃতির প্রচার-প্রসারে সরকারিভাবে পবিত্র কোরআন হাদিসের দরসের আয়োজন করা ।
২) পাশ্চাত্য সংস্কৃতির আগ্রাসন রোধে সরকারীভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩) পবিত্র কোরআনের সঠিক ব্যাখ্যা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে দেশব্যাপী আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা।
৪) রেডিও -টেলিভিশনসহ সকল গণমাধ্যমে পবিত্র কোরআন-হাদিস এর সঠিক চর্চায় অধিকতর গুরুত্বারোপ করা।
৫) নাটক-সিনেমায় ব্যাঙ্গাত্মক চরিত্রে দাঁড়ি-টুপিসহ ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হয় এ জাতীয় চরিত্রের ব্যবহার বন্ধ করা।
৬) ইসলামী দিবস সমূহ পালনের ক্ষেত্রে সরকারসহ সকল রাজনৈতিক দলের অধিকতর সচেতনতার পরিচয় দেয়া।
৭) ইসলামী খোলসে অভিশপ্ত জঙ্গিবাদী অপশক্তির অবাঞ্চিত আস্ফালন, অপতৎপরতা বন্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির সচিব মাওলানা মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ। প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক স ম হামেদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আঞ্জুমানে খুদ্দামুল মুসলেমিন বাংলাদেশ (একেএমবি) এর চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী জসিম উদ্দিন, ট্রাস্টি অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক স ম হামেদ হোসাইন, কলামিস্ট অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, মাওলানা নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী,এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, ডাঃ হাসমত আলী তাহেরী, আবু ছাদেক ছিটু, আহমদ রেজা, রাসেদুল ইসলাম রাসেল, তারেক বিন আহমদ,আব্দুল্লাহ ও সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
+ There are no comments
Add yours