বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির পর বিভিন্ন সংস্থার টনক নড়েছে, নেমেছে অভিযানেও।
এমনই এক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে রাজধানীর ওয়ারীতে। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৬ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করেছে বেশ কয়েকটি গ্যাসের সিলিন্ডার।
সোমবার রাজধানীর র্যাংকিন স্ট্রিটের রেস্টুরেন্টগুলোতে এই অভিযান পরিচালনা করেন ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইকবাল হোসাইন।
বেইলি রোডে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও ওয়ারীর রেস্টুরেন্ট মালিকদের খুব একটা টনক নড়েনি। সেখানে অভিযানে গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, ছোট ছোট জায়গার মধ্যে কিচেন দিয়ে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করছেন তারা।
যেখানে কর্মচারী এবং গেস্টদের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। চার ফুট বাই ছয় ফুট সাইজের একটি কিচেনেও ৭-৮ জন শেফ একসঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে। কোনো সেফটি নেই তাদের জন্য। দুর্ঘটনা ঘটলে শেফদের বের হওয়ার মতো কোনো অবস্থাই নেই।
আই লাভ মেজ্জানে গিয়ে দেখা যায়, আগেই সবকিছু সরিয়ে রেখেছেন কর্মীরা। তাই কয়েকটি হাঁড়িপাতিল ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি। তবে ওই ভবনের এক্সিট গেটে প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা হয়েছে।
অপরদিকে টিউন অ্যান্ড বাইটের কর্মীরা অভিযানের খবরে পুরো দোকান বন্ধ করে রেখেছিলেন। পুলিশ ভেতরে ঢুকে বুঝতে পারে মিনিট দশেক আগেও এটি খোলা ছিল। রেস্টুরেন্টের ২/১টি টেবিলে খাবারও রাখা ছিল। কিচেনে গিয়ে কোনো সিলিন্ডার পাওয়া যায়নি। তবে কিচেনে ব্যাপক তাপ ছিল। পরে জানা গেল— কিছু সময় আগই তারা সিলিন্ডার সরিয়ে ফেলেছেন।
ডাইনিং লাউঞ্জের কিচেনে একাধিক অ্যাক্টিভ সিলিন্ডার পাওয়া গেছে। অভিযান পরিচালনা করা বাকি রেস্টুরেন্টগুলোরও একই অবস্থা।
এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে ডেপুটি কমিশনার বলেন, মিনিমাম সেফটি যারা মেইনটেইন করতে পারেনি এমন রেস্টুরেন্ট থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours