প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ইহসানুল করিমের (হেলাল) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
জানাজা নামাজের আগে তার ছেলে আভাস বলেন, আমার বাবা সাংবাদিক পরিবারের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকেন আমি তার পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি। তার কাছে কেউ কিছু পাওয়া থাকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ করছি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, হেলাল ভাইকে আমরা শেষ বিদায় জানাতে এসেছি। আমি জাতীয় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তার পরিবারের সবার প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সবাইকে বলবো হেলাল ভাইয়ের জন্য আপনারা প্রার্থনা করেন। আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত নসিব করেন। হেলাল ভাই একজন সাংবাদিক ছিলেন না, তিনি আমাদের কাছে ছিলেন অভিভাবক, বড় ভাই। আমরা নানা সমস্যায় তার কাছে যেতাম, বড় ভাইয়ের মতো, অভিভাবকের মতো আমাদেরকে পরামর্শ দিতেন।
তিনি বলেন, হেলাল ভাইয়ের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা ছিল জাতীয় প্রেসক্লাব। দীর্ঘদিন যাবত তিনি প্রেসক্লাবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও প্রেসক্লাবে আসতেন।
ইহসানুল করিম ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি সংবাদ সংস্থার বিভিন্ন পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের নয়া দিল্লিতে বাসস এর ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বিবিসি, পিটিআই এবং ভারতের দ্য স্টেটমেন্ট ও ইন্ডিয়া টুডেসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন।
বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন।
তিনি বাসস থেকে অবসর গ্রহণের পর একই বছরের ২০মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৫ জুন তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব হিসেবে প্রথমে এক বছরের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তার চুক্তির মেয়াদ দুই বার-তিন বছর করে বৃদ্ধি করা হয়।
+ There are no comments
Add yours