ঋণের সুদহার নির্ধারণের পদ্ধতি স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার সুদহার ছেড়ে দেওয়া হলো বাজারের ওপর।
এক্ষেত্রে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বুধবার (০৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংকঋণের সুদহার সম্পূর্ণ বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে স্মার্ট প্রত্যাহার করা হলো। ব্যাংক খাতে ঋণের চাহিদা ও ঋণযোগ্য তহবিলের যোগান সাপেক্ষে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে।
ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণে ৫ নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে। নির্দেশনা পাঁচটি হলো –
– ব্যাংকগুলো খাতভিত্তিক সুদহার ঘোষণা করবে। ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে ঘোষিত সুদহারের সঙ্গে ১ শতাংশ বাড়িয়ে বা কমিয়ে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।
– ঋণের মঞ্জুরিপত্রে সুদহার অপরিবর্তনশীল বা পরিবর্তনশীল কি না, তা উল্লেখ থাকতে হবে। কোনো ঋণের সুদহার পরিবর্তনশীল হলে তা বছরে সর্বোচ্চ কতবার বাড়ানো হবে এবং এ বৃদ্ধি কত শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে, তা আবশ্যিকভাবে মঞ্জুরিপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে।
– কোনো ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, সে সময়ে চলমান ঋণ বা তলবি ঋণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ঋণস্থিতির ওপর এবং মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে।
– ব্যাংক কর্তৃক ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনো সার্ভিস চার্জ আদায় করা যাবে না।
– বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ, বিশেষ তহবিল, পুনঃঅর্থায়ন, প্রাক-অর্থায়ন তহবিলের আওতায় দেয়া ঋণের সুদহার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট তহবিলের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।
+ There are no comments
Add yours