বই পড়ে পুরস্কার পেল ২২১২ শিক্ষার্থী

Estimated read time 1 min read
Ad1

বই পড়ে পুরস্কার পেল রাজশাহীর ২ হাজার ২১২ শিক্ষার্থী। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উদ্যোগে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।

২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মহানগরীর ৫১টি স্কুলের প্রায় ৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী বই পড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এসব স্কুলের যেসব ছাত্র-ছাত্রী মূল্যায়নপর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে আজ তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে। 

দেশের অন্যতম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শুক্রবার (১০ মে) এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এক বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্যে দিয়ে চারটি পর্বে মোট ২ হাজার ২১২ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে এবং ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক পুরস্কার গ্রহণ করেন।  

এছাড়া অন্যান্য পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নাটোর শাখার সংগঠক অধ্যাপক অলোক মৈত্র, কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক জুলফিকার মতিন, লেখক, ঔপন্যাসিক ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শহীদ ইকবাল, বিশ্ব-পরিব্রাজক ও লেখক তারেক অণু, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ  ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং সুজন এর সভাপতি ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র রাজশাহী শাখার সাবেক সংগঠক আহমেদ শফিউদ্দিন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন তার স্বাগত বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান এবং এ বিশাল আয়োজনে ও পুরস্কারের বই স্পন্সরের জন্য গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ দেন।  

তিনি বলেন বই মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে সহায়তা করে। বইপড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে জীবনে সার্বিক উন্নয়ন অনেকটাই সহজতর হয়। সেজন্য তিনি বেশি বেশি বই পড়তে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিগত ৪৫ বছর ধরে আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারের নেতৃত্বে সারাদেশে বইপড়া আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বই পড়ার মাধ্যমে অনেক কিছু জানা যায়। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থেও বই পড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। একটি উন্নত ও সুশৃঙ্খল জাতি গঠনে বই পড়ার গুরুত্ব অপিরসীম বলে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে বইপড়ার আহ্বান জানান।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সব শিক্ষার্থীসহ আগত সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।  

তিনি আরও বলেন, একটি দেশের জাতিসত্ত্বা নির্মাণ করার জন্য বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বই পড়ার গুরুত্ব আমরা সবাই যদি অনুধাবন করি তাহলে আগামীতে আমাদের সন্তানরা নৈতিক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

গ্রামীণফোনের সার্কেল মার্কেটিং হেড শাহিনুর রহমান তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই গ্রামীণফোন সবসময়ই তরুণদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী। এরই ধারাবাহিকতায় বই পড়ার সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এ মহতি উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে তারা আনন্দিত বলে জানান।

বিজয়ী ১৬৬০ জন শিক্ষার্থীকে সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং ৫৫২ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয় সেরা পাঠক বিজয়ীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে প্রতি ১০ জনে একটি হিসেবে মোট ১৫টি বিশেষ পুরস্কারও প্রদান করা হয়।  

বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় ১০টি মূল্যবান বইয়ের একটি করে সেট। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম পরিচালক (প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন। দিনব্যাপী এ উৎসবের বিশাল আয়োজন ও পুরস্কারের বই স্পন্সর করে গ্রামীণফোন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours