কুলাউড়ার মনু নদীর বাঁধ নির্মাণ দীর্ঘসূত্রতার মধ্যে বাঁধা পড়েছে। প্রায় তিন বছরেও মেরামত সম্পন্ন হয়নি এ বাঁধ। ফলে আসন্ন বর্ষায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নদী সংলগ্ন জনপদ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, যৌথ নদী কমিশন মনু নদীর বাঁধ মেরামত ও তীর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। ভারত সরকারের নানা অজুহাত ও দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার মুখে প্রতিরক্ষা বাঁধটির বাংলাদেশ অংশে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্তে ১ হাজার ৪০০ মিটার এলাকায় ভাঙন তীব্র হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ বর্ষায় বন্যা আতঙ্কে রয়েছে। চাতলা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টটিও হুমকির মুখে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্তের মনু নদী প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি পয়েন্টে ১ হাজার ৪০০ মিটার এলাকায় ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। শরীফপুর ইউনিয়নের বাঁধের এ অংশ অনেক আগেই নদীর সঙ্গে মিশে একাকার হয়ে গেছে। বর্ষায় নদীতে পানি বাড়লে কোনটি প্রতিরক্ষা বাঁধ, কোনটি নদী, আর কোনটি গ্রাম তা বোঝার উপায় থাকে না।
সীমান্তবর্তী এ ইউনিয়নের মানুষ এখন বন্যাতঙ্কে রয়েছে। ২০১৮ সালের বন্যায় পুরো এ ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ওই সময় চাতলাপুর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু ও কালভার্ট বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, বর্ষার আগেই নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের কাজ শেষ করতে হবে। না হলে বন্যার আতঙ্কে থাকতে হবে। পাউবোর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, গত ১ এপ্রিল পাউবো তত্ত্বাবধায়কের নেতৃত্বে একটি টিম সীমান্ত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। সে সময় ভারত সরকারের দাবি করা পাঁচটি স্থান বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় না থাকায় এ ব্যাপারে সঠিক কোনো কিছু জানা যায়নি।
+ There are no comments
Add yours