২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

Estimated read time 1 min read
Ad1

২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। মোট ব‍্যয়ের মধ্যে সরকার দেবে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, বিদেশি ঋণ ও অনুদান থেকে আসবে এক লাখ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার। এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম ও প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

সত্যজিৎ কর্মকার জানান, সভায় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্পোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার টাকা এডিপিও অনুমোদিত হয়েছে। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে অর্থায়ন ১১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ন ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সুতরাং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেশনের প্রকল্পের বরাদ্দসহ এডিপির সর্বমোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির আওতায় প্রকল্পের সংখ্যা ১৩২১টি।

বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যে কৃষি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, বিদ্যুৎ খাত, শ্রম-শক্তির দক্ষতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য হ্রাসকরণ সংক্রান্ত প্রকল্পে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের গতিশীলতা বজায় রাখা, কর্মসৃজনের আওতা সম্প্রসারণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনে লক্ষ্যভিত্তিক কার্যক্রম গ্রহণের যে নীতি-কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে, তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের এডিপি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি খাত
১. পরিবহন ও যোগাযোগ: ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (২৬.৬৭%)।
২. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি: ৪০ হাজার ৭৫১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা (১৫.৩৮%)।
৩. শিক্ষা: ৩১ হাজার ৫২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা (১১.৩৬%)।
৪. গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি: ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা (৯.৩৮%)।
৫. স্বাস্থ্য: ২০ হাজার ৬৮২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (৭.৮০%)।
৬. স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন: ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি ২১ লাখ টাকা (৬.৭৯%)।
৭. কৃষি: ১৩ হাজার ২১৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা (৪,৯৯%)।
৮. পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ: ১১ হাজার ৮৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (৪.১৮%)।
৯. শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা: ৬ হাজার ৪৯২ কোটি ১৮ লাখ টাকা (২.৪৫%)।
১০. বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি: ৪ হাজার ৭৮৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা (১.২৫%)।

সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি মন্ত্রণালয়:
১. স্থানীয় সরকার বিভাগ: ৩৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা (১৫.০০%)।
২. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ: ৩২ হাজার ৪২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা (১২.৩৯%)।
৩. বিদ্যুৎ বিভাগ: ২৯ হাজার ১৭৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা (১১.২৮%)।
৪. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়: ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা (৬.২৪%)।
৫. স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ: ১৩ হাজার ৭৪১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা (৫.৩১%)।
৬. রেলপথ মন্ত্রণালয়: ১৩ হাজার ৭২৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা (৫.৩১%)।
৭. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়: ১২ হাজার ৮৮৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা (৪.৯৮%)।
৮. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ: ১১ হাজার ৩৮৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা (৪.৪০%)।
৯. নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়: ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা (৪.০১%)।
১০. পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়: ৮ হাজার ৬৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা (৩.৩৬%)।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours