কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর, রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে জেলার তিন উপজেলায় ‘হেভিওয়েট’ নেতাদের হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন দলের পেছনের সারির নেতারা।
এর আগে, মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পুর্ণ হয়। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হলেও কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। কেন্দ্রগুলোতে চোখে পরেনি ভোটারদের অপেক্ষমাণ লাইন।
ভোট গণনা শেষে বেসরকারি ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. বরমান হোসেন। নির্বাচনে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় বিজয়ী হয়েছেন মো. মনজুরুল ইসলাম রতন। (আনারস প্রতীক) তিনি ৫২ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের উপদফতর সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলীর ছেলে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু পেয়েছেন ৩০ হাজার ৫১৪ ভোট।
জেলার কেন্দ্রবিন্দু এই উপজেলায় মোট ভোটার ২ লাখ ৬১ হাজার ১৯৫। প্রদত্ত ভোটের হার ৩৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম হোসেন মন্টুকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. সাজাদুর রহমান তালুকদার সাজু ।
আনারস প্রতিক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ৪৬৪ ভোট। সদ্য শেষ মেয়াদের উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা প্রভাবশালী নেতা গোলাম হোসেন মন্টু পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৪ ভোট। তিন লাখ ৫২ হাজার ৭৮০ ভোটারের উলিপুর উপজেলায় প্রদত্ত ভোটের হার ছিল মাত্র ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ। উলিপুরে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৮০ জন। পুরুষ ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৩ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৭ জন। রাজারহাট উপজেলায় নিজ চেয়ার ধরে রেখেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুনুর মো. আক্তারুজ্জামানকে পরাজিত করেছেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের এই সদস্য। মোটরসাইকেল প্রতীকে জাহিদ ইকবাল পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৩৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুনুর মো. আক্তারুজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৭৩ ভোট। উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫১। প্রদত্ত ভোটের হার ৪০ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট।
+ There are no comments
Add yours