কাজী নজরুল কবিতাকে বেছে নেন প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে: প্রধানমন্ত্রী

Estimated read time 1 min read
Ad1

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কবিতাকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবি অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেন।

শনিবার (২৫ মে) ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঊনবিংশ শতাব্দীর বিদায় এবং বিংশ শতাব্দীর আগমন লগ্নে নজরুলের জন্ম। তখন বাংলাদেশসহ গোটা উপমহাদেশ পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি। একদিকে দারিদ্র্য অন্যদিকে দেশমাতার পরাধীনতা কবিকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় পাগলপ্রায় করে তুলেছিল।

কবি অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেন। রাজদ্রোহের অপরাধে কারাবরণ করেন। কবিতাকে বেছে নেন প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কবি নজরুলের লেখনীতে ফুটে ওঠে আর্ত-পীড়িত, ব্যথিত ও উপেক্ষিত মানবমনের কথা। কবি নজরুলের আজীবন সাধনা ছিল সমাজের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তি এবং মানুষের সামাজিক মর্যাদার স্বীকৃতি অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নজরুলের ক্ষুরধার লেখনীর স্ফুলিঙ্গ যেমন ব্রিটিশ শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, তেমনি তার বাণী ও সুরের অমিয় ঝর্ণাধারা সিঞ্চিত করেছে বাঙালির হৃদয়কে। তিনিই প্রথম বাঙালি কবি যিনি ব্রিটিশ অধীনতা থেকে ভারতকে মুক্ত করার জন্য স্বরাজের পরিবর্তে পূর্ণ স্বাধীনতার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানবতার জয়গান গেয়েছেন, নারীর অধিকারকে করেছেন সমুন্নত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবির জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমাদের সরকার গত ১৫ বছরে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা নজরুলের সৃষ্টিসমূহের সংগ্রহ, সংকলন, সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নজরুল জাদুঘর সংস্কার ও মেরামত, নজরুল অ্যালবাম প্রকাশ, নজরুল সঙ্গীতের সিডি প্রকাশ, শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুল সঙ্গীতের প্রশিক্ষক তৈরির বিশেষ কোর্স চালু এবং নজরুলের অপ্রচলিত গানের সুর সংগ্রহ, স্বরলিপি প্রণয়ন, সংরক্ষণ, প্রচার ও নবীন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধকরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নজরুল সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া, কুমিল্লায় নজরুল ইনস্টিটিউট কেন্দ্র স্থাপন, ঢাকাস্থ নজরুল ইনস্টিটিউটের ১১তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় বিদ্যমান ভবনের সংস্কার করেছি। আমাদের সরকারের এসব কার্যক্রম নজরুল-চর্চার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে যা অসাম্প্রদায়িক, ন্যায়, সমতাভিত্তিক উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথকে প্রশস্ত করবে বলে আমি আশা করি।

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours