বিয়ের দুই মাস পর আনুষ্ঠানিকতা সারতে বিশাল বরযাত্রী বহর নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম তালুকদার। কথা অনুযায়ী ওই বরযাত্রীতে লোক আনার কথা ছিল শতাধিক।
কিন্তু লোক ডাবল আনায় বিব্রত হন কনেপক্ষ। ফলে খাবারও কম পড়ে যায়। আর তাতে বাঁধে চরম বিপত্তি। একপর্যায় বর-কনে পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল সংঘর্ষ। এতে বরসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত দুই মাস আগে মধ্য কাইচাইল গ্রামের মো. পান্নু মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের সঙ্গে পার্শ্ববতী নাগারদিয়া গ্রামের মো. মিরান তালুকদারের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শাহ আলম তালুকদারের বিয়ে হয়।
তবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রলীগ নেতা বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন। কিন্তু বিয়ের পাকা কথা অনুযায়ী বরযাত্রীতে ১০০ জন লোক আনার কথা ছিল। তবে কনেপক্ষের দাবি বরযাত্রীতে দ্বিগুণ লোক আনা হয়েছে। এতে ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটে।
অন্যদিকে খাবার কম পেয়ে আগত অতিথিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর শুরু করেন। একপর্যায় বর-কনেপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর কনে বৃষ্টি আক্তারকে তার বাড়িতে ফেলে রেখে বরযাত্রীসহ ফিরে যান বর শাহ আলম তালুকদার।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours