বাবরের এভারেস্ট অভিযানের তহবিলে মাত্র ২৫ টাকা অনুদান পাঠিয়েছিলেন এক ভক্ত। সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকাও এসেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের হিসাবে।
এভাবে দুইটি মোবাইল ফোন, একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব এবং পৃষ্ঠপোষকদের অনুদান মিলে তহবিলে জমা হয়েছিল প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এ অভিযানে খরচ হয়েছে ৪৫ লাখ টাকার বেশি। সফল এভারেস্ট অভিযান শেষে দেশে ফেরার পর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বাবর আলীর এভারেস্ট ও লোৎসে অভিযানের সমন্বয়ক শরীফ মো. ফরহান জামান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অরাজনৈতিক সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছেন বাবর আলীর এভারেস্ট অভিযানের তহবিলে।
যখন আমরা ক্রাউড ফান্ডিংয়ে যাই, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ সহায়তা করেছে। ২৫ টাকা পর্যন্ত বিকাশে পেয়েছি। যে টাকায় বাবার এভারেস্ট জয় করেছে। আমরা মনে করি বাবর আলী একা উঠেনি, তাদের সবাইকে নিয়ে উঠেছে। অভিযানে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
কেন এ অভিযানের চ্যালেঞ্জ নিলেন জানতে চাইলে বলেন, পর্বতারোহন হচ্ছে খেলার রাজা। ফুটবলে ভুল করলে গোল খেলেন। ক্রিকেটে হেরে গেলেন। কিন্তু পর্বতারোহনে ভুল হলে মৃত্যু। আমি বার্তা দিতে চেয়েছি, স্বতন্ত্র খেলায় আমরাও পারি। আমি সেটি প্রমাণ করেছি। আগামীতে আরও পর্বতারোহনের ইচ্ছে আছে। আত্মবিশ্বাস ছিল এভারেস্ট ও লোৎসের চূড়ায় পৌঁছানোর পর আবার দেশে ফিরে আসব। সেটিই হলো। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ, প্রচেষ্টা, আকাঙ্ক্ষা—সবই পূরণ হলো। দেশের মানুষ যেভাবে উৎসাহ জুগিয়েছে, এতে আমি আনন্দিত।
+ There are no comments
Add yours