বাগেরহাটের চার উপজেলায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট

Estimated read time 1 min read
Ad1

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের বেশিরভাগ এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। লবণ পানি প্রবেশ করেছে সুপেয় পানির আধার সরকারি-বেসরকারি পুকুরে।

ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন হয়েছে এলাকার পুকুরের পানি বিশুদ্ধ করার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা পিএসএফ ও টিউবওয়েল গুলো। যার ফলে জেলার মোংলা, রামপাল, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে নদী তীরবর্তী এলাকার অনেকে বাধ্য হয়ে লবণ পানি পান করছেন।   

এদিকে লবণ পানি পান ও ব্যবহার করায় চর্মরোগ ও পেটের পীড়া দেখা দিয়েছে এই অঞ্চলের বাসীন্দাদের। কেউ কেউ জীবন বাঁচাতে দূরদূরান্ত থেকে পানি কিনে আনছেন। ঝড়ের তাণ্ডব শেষ হওয়ার পর জেলা-উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার পাওয়া গেলেও, সুপেয় পানির কোনো সরবরাহ ছিল না দূর্গত এলাকায়। যার কারণে সরকারিভাবে নদী তীরবর্তী এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া এলাকা ঘষিয়াখালী গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলাম খলিফা বলেন, ঝড়ে এত বেশি পানি হয়েছিল পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। এখনও বেশিরভাগ জায়গায় পানি জমে আছে। বাজারে যে পুকুরের পানি সবাই পান করত, সেই পুকুরের পানি এখন লবণাক্ত। বাধ্য হয়ে অনেকেই লবণ পানি পান করছেন।

এই উপজেলার পঞ্চকরণ, তেলিগাতি, বারুইখালী, হোগলাবুনিয়া, জিউধরা, বলইবুনিয়া, চিংড়াখালী, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সর্বত্রই এখন সুপেয় পানির সংকট।

এদিকে শরণখোলা উপজেলা সদরের বাইরেও সব জায়গায় সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সাউথখালী ইউনিয়নের খুড়িয়াখালী গ্রামের নাইম শেখ বলেন, ঝড়ে গাছ পড়ছে, ঘর ভাঙছে রাস্তা ও বাড়ি-ঘরে পানি উঠছে। সেসব এখন স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। কিন্তু পুকুরের পানি যে লবণ হয়ে গেছে, তা মিষ্টি করব কী দিয়ে? পানির যে কি কষ্ট তা বলে বুঝানো যাবে না।

মোংলা ও রামপাল উপজেলার মানুষও সুপেয় পানির একই ধরনের সংকটে ভুগছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours