কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতিতে বন ধ্বংস এবং পরিবেশের ক্ষতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সেখানে নতুন অবকাঠামো নির্মাণ বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত হবে না।
মঙ্গলবার (জুন ০৪) সন্ধ্যায় গণভবনে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহি সাসাকাওয়াকো সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ব্যাপক বন ধ্বংসের কারণে কক্সবাজারে ইতোমধ্যে পরিবেশ এবং বাস্তুসংস্থানে ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। সেখানে নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণ বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা খুবই ঘনবসতি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে বসবাস করছে। যদি তাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা যায় সেখানে তারা অধিকতর ভালো জীবন পাবে।
রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনে ইয়োহি সাসাকাওয়ার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরেও নিপ্পন ফাউন্ডেশনের সহায়তা চান শেখ হাসিনা। বর্তমানে নিপ্পন ফাউন্ডেশন রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
ইয়োহি সাসাকাওয়া ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করার প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের সন্তানদের শিক্ষার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল। সে সময় ৪০ হাজারের বেশি নারীর গর্ভবতী ছিলেন। সরকার তাদের খাবার দেয় এবং ফিল্ড হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিল। পরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং এনজিও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে।
তিনি বলেন, কট্টর মন-মানসিকতার রোহিঙ্গা নারীরা পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী না হওয়ায় খুব দ্রুত রোহিঙ্গার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময় জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতেও কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে নিপন ফাউন্ডেশন। এই সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাটলার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ।
+ There are no comments
Add yours