প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ৬০-৭০ শতাংশ হলে আমরা আরও সন্তুষ্ট হতাম। আশা করি, মানুষ আগামীতে আরও সচেতন হবে, গণতান্ত্রিক চেতনা উপলব্ধি করে ভোটমুখী হবেন।
পঞ্চম ধাপে উপজেলা নির্বাচন শেষে রোববার (০৯ জুন) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, চারটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে আরেকটি ধাপ বেড়েছে। আজ পঞ্চম ধাপে ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন হলো। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে আজ পর্যন্ত ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করলাম। এবার প্রতিটি জেলায় তিনটি বা চারটি ধাপে হয়েছে। এজন্য প্রশাসনে কর্মকর্তাদের জন্য সহজ হয়েছে। স্বস্তিদায়কও হয়েছে।
সিইসি বলেন, ২৬টি উপজেলা নির্বাচন বাকি আছে। এর মধ্যে কয়েকটি এখনো মেয়াদপূর্তি হয়নি। কয়েকটি আদালতে নির্দেশনার কারণে স্থগিত রেখেছি। যথাসময়ে ওগুলো আমরা করব। তবে উপজেলা নির্বাচন মোটামুটি শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার ১১৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৩৫টি ভোটকেন্দ্রের হিসাব পেয়েছি। সেদিক থেকে ভোট পড়েছে ৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কাজেই নিশ্চিত করে বলা যাবে না কত ভোট পড়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আজকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হযেছে। এর মধ্যে দুইজন পোলিং অফিসার নির্বাচনী অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। এই দিক থেকে আমরা কঠোর ছিলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচনে মোট চারজন আহত হয়েছেন। দুজন গুরুতর। সেখানে মোটামুটি বলা যায়, কোপাকুপি হয়েছে। খুব যে গুরুতর ওরকম কিছু নয়। আজকে ভোটার ছিল ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল।
গত ৮ মে থেকে পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হলো ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
+ There are no comments
Add yours