সুধীর চন্দ্র দাশ,স্টাফ রিপোর্টার,কক্সবাজার।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ বুধবার। এদিন থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের। শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। এই চণ্ডীতেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো মহালয়া।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এদিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ছয় দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
৯ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই দুর্গাপূজার আনন্দধ্বনি শোনা যাবে। ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে উৎসবের।
চট্টগ্রামের শ্রী শ্রী চণ্ডীতীর্থ মেধস আশ্রমে পূজার সূচনালগ্নে শুভ মহালয়া উপলক্ষে “শ্রী শ্রী সপ্তশতী চণ্ডীযজ্ঞ “পরিচালনা করেন শ্রী শ্রী অদ্বৈতানন্দ ঋষিমঠ ও মিশন কেন্দ্রীয় আশ্রম,জলদী,বাঁশখালী,চট্টগ্রাম।
সার্বিক সহযোগিতায়-মেধস আশ্রম ও শ্রী শ্রী অদ্বৈতানন্দ ঋষিমঠ ও মিশন উত্তর ভূর্ষি,বোয়ালখালী,চট্টগ্রাম। এ ছাড়াও
মহালয়া উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে আজ ভোর থেকেই শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ছয়টায় শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতার।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো মানুষ বা দেবতা কখনো মহিষাসুরকে হ’ত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চান।
ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’ রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহ বাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত করেন।
+ There are no comments
Add yours