ডেস্ক নিউজ:
হাসিনার শাসনব্যবস্থার অংশ এখনও বিরাজমান উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, আমরা কোনো গোলটেবিল আলোচনা চাই না। আমরা রাজপথে বিশ্বাসী, রাজপথে থেকেই সমাধান করতে চাই। রাজপথে থেকে হাসিনা পালিয়েছে, রাজপথেই সিদ্ধান্ত হবে চুপ্পু কোথায় যাবে। রাজনৈতিক কোনো দল যদি কোনো ইনডোর রুমে বসে সিদ্ধান্ত নিতে চায় তবে আমরা রাজপথে থেকেই সেটার সমাধান করবো। চুপ্পুকে অপসারণ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) শহীদ মিনারে ‘৭২র মুজিববাদী সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর অপসারণ’ দাবিতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঐক্যের ডাক দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ফ্যাসিবাদ নিমূল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ১৫ বছরে যারা ভোট দিতে পারেনি, তারা তা পারবেন। আমরা শহীদ-আহতদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করি। তবে তাদের আকাঙ্ক্ষা ধারণের যে বাধা রয়েছে সে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে নিয়ে নির্বাচন প্রাসঙ্গিক হতে পারে না
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিতে আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক। মুজিববাদি ও জাতীয় পার্টিকে চান না বলে এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যারা জুলাই বিপ্লবের সাথী ছিল, তারা কেউ ৭২ এর সংবিধান চায় না। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল নানা উপায়ে চুপ্পুকে অপসারণের বিরোধিতা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো চুপ্পুকে অপসারণ প্রশ্নে আপনাদের অবস্থান পরিস্কার করবেন। বাকশালি সংবিধান ২০২৪ এর অভ্যুত্থানের পর কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। আমরা ৭২ এর সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন করে সংবিধান লিখবো।
তিনি আরও বলেন, কোনো দল যদি বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে না আসে তাহলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সে দলকেও আমরা বয়কট করবো। আমরা বাহাত্তরের পচা-গলা সংবিধান মানবো না। বাহাত্তরের সংবিধান থাকলে রাজনৈতিক সংকট থাকবে দূর হবে না।
প্রশ্নোত্তর পর্বে হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, রাষ্ট্রপ্রধান মো. সাহাবুদ্দিনকে সরাতে যারা বঙ্গভবন ঘেরাও করছে তাদের দাবির সাথে একমত তারাও; তবে তাদের প্রক্রিয়াতে আপত্তি আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের। ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই, এই সপ্তাহের মধ্যেই জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বিএনপির উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির এখনও নির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি। বিক্ষিপ্ত মন্তব্য না করে নির্দিষ্টভাবে বলতে আহ্বান জানান তিনি।
+ There are no comments
Add yours