নোয়াখালীতে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মা – মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

Estimated read time 1 min read
Ad1

 

ডেস্ক নিউজ: 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হাসান ও হারুন নামে দুজনকে আটক করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে চরএলাহী ইউনিয়নের চরবালুয়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়ে বিচার পাননি ভুক্তভোগীরা। পরে বাধ্য হয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান , তার স্বামী কাভার্ডভ্যান চালক। বাড়িতে তিনি তার দেবর ও মেয়েসহ থাকেন। তাদের বাড়ির কাছাকাছি তেমন কারো বাড়িঘরও নেই। গত রোববার রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের বাড়িতে আসে। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে রেখে তার মেয়ে ও তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। এসময় যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে নিয়ে যায় বাড়ির পুকুর পাড়ে। আর অপর তিনজন মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। এরপর তাকে পুকুর পাড়ে মা ও মেয়েকে রান্নাঘরে রাত ৩টা পর্যন্ত পালাক্রমে গণধর্ষণ করা হয়। যাওয়ার সময় তারা ঘর থেকে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

ঘটনার পর পরদিন সকালে বিষয়টি স্থানীয় সমাজনেতৃবৃন্দদের জানান এবং তাদের কাছে ঘটনার বিচার চান ওই নির্যাতিত নারী ও তার মেয়ে। কিন্তু সমাজপতিরা বিচারের নামে তালবাহানা করতে থাকেন। পরে বাধ্য হয়ে ওই নারী গতকাল শনিবার বিকেলে স্থানীয় চরবালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করেন।

চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাত বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাসান ও হারুনকে আটক করা হয়েছে।কোম্পানীগঞ্জ থানার এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন।
সূত্র: চ্যানেল আই

মোঃ আতিক উল্লাহ চৌধুরী

নির্বাহী সম্পাদক, খবর বাংলা ২৪ ডট নেট

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours