ডেস্ক নিউজ:
রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। এ সময় সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি এবং পুলিশের লেগুনায় আগুন দেওয়া হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গুলিবিদ্ধ দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কচুক্ষেত এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে এবং পুলিশের একটি লেগুনায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডায়না গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা বিভিন্ন দাবিতে কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন তাঁরা। পুলিশ ও সেনাবাহিনী শ্রমিকদের শান্ত করতে আসলে তাদের ওপর ইট–পাটকেল ছুড়তে থাকেন আন্দোলনকারীরা। আত্মরক্ষায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন শ্রমিক আল আমিন
(১৭) ও রুমা বেগম (১৫)।
তাাঁরা আরও জানান, এ সময় সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকেরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে যায়।পুরো এলাকা বন্ধ করে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পরিস্থিতি থমথমে এখনও। শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে একজন বহিরাগত দুটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার করে গুলিবিদ্ধ শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
গুলিবিদ্ধ আল আমিনের বাবা আব্দুর রহমান বলেন, আমার ছেলে মিরপুর ১৪ এলাকার ক্রিয়েটিভ ডিজাইনার গার্মেন্টসে পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। সকাল ৯টার দিকে তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ।
তিনি বলেন, এ সময় পোশাক শ্রমিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে গুলিতে আমার ছেলে ও রুমা নামে আরও এক নারী পোশাক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমার ছেলে ও রুমার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আল আমিন ও রুমা নামের দুই পোশাক শ্রমিককে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
+ There are no comments
Add yours