মোঃ মোশারফ হোসেন সরকার
জামালপুরের বকশীগঞ্জে বিএনপির করা মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিতে যুবদল নেতার কাছে আর্জি জানিয়েছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী। বিষয়টি নিয়ে তাদের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ফোনালাপের একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। এতে জেলাজুড়ে আলোচনা হচ্ছে।
২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড এর ফোনালাপে তাদের বলতে শোনা গেছে, মামলার তালিকা থেকে নাম কাটার অনুরোধ করেন যুবমহিলা লীগের নেত্রী জহুরা বেগম। সেই উত্তরে যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান আশ্বস্ত করেন এবং উপজেলা বিএনপির আহবাহক মানিক সওদাগরের সাথে বসিয়ে দেওয়ার কথাও বলেন।
আরও বলেতে শোনাগেছে, সেই নেত্রীর রাস্তার ঠিকাদারির কাজ চান যুবদলের নেতা মাহবুবুর রহমান। তবে জহুরা বেগম প্রতি উত্তরে মানিক সওদাগরের সাথে বসে কথা বলার অনুরোধ করেন। এবং বিএনপির সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও বকশীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান জহুরা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার সাথে কথা বলা যায়নি।
তবে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু বলেন, একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলে মামা উনিতো (জহুরা বেগম) পলাতক কোনো কাজ করতে পারছে না, একটু কথা বলেন। পরে আমি কথা বলি। আমি সহজ সরল মানুষ ভাই। তিনি ফোনে কথা বলার শুরুতেই মামলা নিয়ে কথা বলে। মামলার বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। কাজের জন্য তার সাথে কথা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর আমার বার্তা কে বলেন, রেকর্ড শুনেছি। এখন একজন যদি বলে যে অমুকের কাছে গেলে মামলা শেষ হবে। কিন্তু আমার কাছে তো আসতে হবে শুনতে হবে। মামলা আমিই করছি আমিই শেষ করবো।
জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সোহেল খান বলেন, আমি এখনো কল রেকর্ডটি শুনিনি। আগে শুনি তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
প্রসঙ্গত, ছাত্র আন্দোলনের পর বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১ নভেম্বর নাশকতার মামলা দায়ের করেন বুলবুল বিএসসি নামের এক ব্যাক্তি৷ সেই মামলায় বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগমেরও নাম রয়েছে৷
+ There are no comments
Add yours