ডেস্ক নিউজ:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে আহতদের দেখতে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ বুধবার বেলা ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় অন্য গাড়িতে করে হাসপাতাল ছাড়েন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে পঙ্গু হাসপাতালে যান। তিনি আহত কয়েকজনের খোঁজখবর নিয়ে হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে যান। ততক্ষণে সেখানে আহত ব্যক্তিরা ভিড় করেন। তাঁদের সরে যেতে বললে আহত ব্যক্তিরা উপদেষ্টার গাড়ির সামনে পথ আটকে দাঁড়ান। কেউ গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। কয়েকজন উঠে পড়েন উপদেষ্টার গাড়ির ওপরও।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের টাকা ও সুচিকিৎসার দাবিতে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়ক বন্ধ করে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে আহতেরা। তাদের দাবি, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হলেই সড়ক ছাড়বেন তারা। না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত তারা রাস্তা ছাড়বেন না। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সবাইকে না দেখেই বের হয়ে যান। তিন মাস পর হাসপাতালে এলেও সবাইকে উপেক্ষা করেছেন তিনি।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়কে অবস্থান করছিল।
এ নিয়ে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ি অক্ষত রয়েছে। উপদেষ্টা অন্য একটি গাড়িতে হাসপাতাল ছেড়েছেন।’
+ There are no comments
Add yours