ডেস্ক নিউজ:
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৩১ জন। থেমে থেমে চলা ৪ ঘণ্টার এই সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে রূপ নেয় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা। পরে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে রাত ২টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা গেছে, রোববার দিবাগত মধ্যরাতের এই ঘটনায় অন্তত ৩১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজনের নাম জানা গেলেও কারা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তা জানা যায়নি।
আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ইমন (২৪), উৎসব (২৮), আজাদ (২৮), বুলবুল (২৮), প্রশান্ত (২৮), শিশির (২৮), তৌফিক (২২), রুদ্র (২৬), আনান (২৫), জুনায়েদ (২৮), সৌমিক (২৮), ইমন (২০), নাহিদ (২৩), রাকিব (২০), ইমন (২২), নাহিদ (২৩), রাকিব (২০), ইমন (২২), প্রবাল (২২), রমাজান (২৩), মো. মিঠুন (২১), ইমরান (২০), নাদিম (২০), ফাহাদ (১৯), খালেদ (১৯), সোহান (২২), আমিন (২২), রিফাত বিশ্বাস (২৫), তপু (২০), মেহেদি (২১) ও পার্থ (২৮)।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক আহতদের চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রোববার রাত ১০টার পর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স) ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। চলে রাত ২টা পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হলেও তেমন তৎপরতা দেখায়নি। সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুপক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
বুটেক্সের ডেপুটি রেজিস্ট্রার শরীফুর রহমান জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি।
সংঘর্ষের সময় কয়েক শিক্ষার্থী জানান, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমানকে কিছুদিন আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। রোববার দুপুরে সেই অধ্যক্ষ তাঁর অনুসারী কিছু শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অধ্যক্ষের পক্ষের কিছু শিক্ষার্থীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লতিফ হলের পাশের রোডে শিক্ষার্থীরা বৈঠক করতে যান। তখন বুটেক্সের কিছু শিক্ষার্থীরা এসে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের এই স্থান থেকে সরে যেতে বলেন। কথা কাটাকাটির জেরে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা বাঁশের লাঠি, রড, পাইপ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।
+ There are no comments
Add yours