মোঃ আমির হোসেন | ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরের সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের দেড় কিলোমিটার রাস্তা বৃষ্টির মৌসুমে বৃষ্টির পানি ও কর্দমাক্ত হয় দুই শতাধিক পরিবারের লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তি হয়ে পরছে। দেড় কিঃমিঃ রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কয়েক বছর আগে মাটির কাজ সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত পাকাকরনের কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি। বর্ষা মৌসুমে পানি,কাদা ও পিচ্ছিল হওয়ায় এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের লোকজনের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ কারনে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি এলাকাবাসীর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এ রাস্তা দিয়ে কয়েকটি স্কুল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী চলাচল করে। কিন্তু বর্ষার মৌসুমের সময় রাস্তায় পানি ও কাদা হওয়ায় ছোট শিশুরা স্কুলে যেতে পারে না। এছাড়া রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন সময় মালপত্র বহন করতে গিয়ে পা পিছলে ছিটকে পড়ে আহত হয়েছে অনেকে।
রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সেলিম মোল্লা জানান, রাজাপুর ভান্ডারিয়া মহাসড়ক রাস্তার (সমোবায় ক্লাব) ক্লাব ষ্টান থেকে মোল্লা বাড়ির ব্রিজ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার পিচঢাল রাস্তা সংস্কার করা হয়, বাকি মোল্লা বাড়ি থেকে ফকির বাজার প্রযন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না করার কারনে বৃষ্টির মৌসুমে রাস্তায় পানি ও কাদায় হওয়ায় ওই এলাকার প্রায় দুইশতধিক পরিবারের লোকের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এমনকি বৃৃষ্টির মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার পথে পা পিচলে পড়ে গিয়ে বই-খাতা কাপড়-চোপড় নষ্ট হয়ে যায় এবং বোঝা বহন কারিদের পড়ে গিয়ে বোঝা ছিটকে পড়ে মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। ওই এলাকার কোন লোক রাতের বেলা অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে রাতে যাওয়া সম্ভবই না তারপর দিনের বেলায়ও ডাক্তারের কাছে যেতে চরম কষ্ট পেতে হয়।
তিনি আরো জানান, ওই রাস্তাটি পাকাকরনের জন্য বহুবার ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান কে বলা হয়েছে কিন্তু তাদের কোনো উদ্দ্যেগ নেই, ওই রাস্তাটি পাকাকরনের ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই বলে পরিষদের পক্ষ থেকে কোন উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি।
রাস্তাটি পাকা করনের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
+ There are no comments
Add yours