ডেস্ক নিউজ:
গণঅভ্যুত্থানের সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কারাগার থেকে পলাতক ২২ শতাধিক আসামির মধ্যে এখনও সাত শতাধিক আসামি লাপাত্তা। বিভিন্ন মামলায় যাদের দাগি আসামি বা শীর্ষ সন্ত্রাসী বলা হচ্ছে তাদের ১১ জন মুক্তি পেয়েছেন। যাদের জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলা হয়েছে তাদের ১৭৪ জন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। পালানো বিভিন্ন আলোচিত মামলা ও জঙ্গি সদস্যের মধ্যে এখনও পলাতক ৭০ জন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা অধিদপ্তরের কারাগারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান প্রধান কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন।
পলাতকদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তির বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের। আমরা আদালতের নির্দেশ মানতে বাধ্য।
এসময় কারাপ্রধান জানান, দেশে এই মুহূর্তে ৬৯টি কারাগার রয়েছে। এই কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার। পাঁচ আগস্টের পর ৫০ হাজারের কিছু বেশি ছিল। তারপর কারাবন্দির সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে ৬৫ হাজার কারাবন্দি রয়েছে।
তিনি বলেন, কারাগারগুলোর মধ্যে ১৭টি অনেক পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ। সরকার বিষয়গুলো জানে, এগুলো অতিদ্রুত সংস্কার, মেরামত ও পুনর্নির্মাণ দরকার।
তিনি আরও বলেন, গত তিন মাসে কারাগারে অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জন্য বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
কারা অভ্যন্তরের সব ধরনের তল্লাশি জোরদার।
বন্দী ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় কারা হাসপাতাল স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ কারাগার পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ।
জ্যামার, বডিক্যামসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি ক্রয়ের উদ্যোগ।
কারা অভ্যন্তরে মাদক দ্রব্যের প্রবেশ রোধে ঝুঁকিপূর্ণ কারাগারসমূহে ডগ স্কোয়াড মোতায়েন।
সৎ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন অফিসার এবং কারারক্ষীদের কারা সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন কারাগারসমূহে পদায়ন।
বন্দীদের সঙ্গে মানবিক আচরণ নিশ্চিতে নির্দেশনা জারি।
বন্দীদের প্রাপ্যতা অনুযায়ী খাবারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির সরবরাহ নিশ্চিতে কঠোর তদারকি।
বন্দীদের দেখা-সাক্ষাৎ, টেলিফোনে কথা বলা, চিকিৎসা যথাযথভাবে নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি ও বাস্তবায়নে কঠোর নজরদারি।
বন্দী ব্যবস্থাপনা অধিকতর স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কারাগার ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সফটওয়্যারসহ, আরএফআইডি এবং জিপিএস ব্যবহারের উদ্যোগ।
সেবা প্রত্যাশীদের সহায়তার জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালুর উদ্যোগ।
নানা মহলের দাবির প্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ।
+ There are no comments
Add yours